ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

দুর্র্ধষ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে পুলিশের চিঠি

  • আপডেট সময় : ০২:৩১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দুর্র্ধষ ও চাঞ্চল্যকর আসামিদের আদালতে হাজির করতে কারা অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামি যেমন- সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরই মধ্যে দ-প্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে- জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দ-প্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। এমতাবস্থায়, জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
গত রোববার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় অন্য দুই আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও সফল হয়নি জঙ্গিরা।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর রাজধানী ও দেশের প্রতিটি সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন মশিউর রহমান ওরফে আইমান। এই আইমান বর্তমানে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধানের দায়িত্বে আছেন। মূলত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। এদিকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুর্র্ধষ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে পুলিশের চিঠি

আপডেট সময় : ০২:৩১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দুর্র্ধষ ও চাঞ্চল্যকর আসামিদের আদালতে হাজির করতে কারা অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামি যেমন- সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর, সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরই মধ্যে দ-প্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে- জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দ-প্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। এমতাবস্থায়, জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
গত রোববার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় অন্য দুই আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও সফল হয়নি জঙ্গিরা।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর রাজধানী ও দেশের প্রতিটি সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন মশিউর রহমান ওরফে আইমান। এই আইমান বর্তমানে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধানের দায়িত্বে আছেন। মূলত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। এদিকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।