নিজস্ব প্রতিবেদক: এ দেশের রাজনীতিবিদ-আমলা-কেউই চায় না দুর্নীতি বন্ধ হোক। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, অপচয়ের পরিসীমা নেই। এসব যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
ফাওজুল কবির আরো বলেন, অপচয়, দুর্নীতি ও অদক্ষতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। পানির উৎস থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কেবল একজন মন্ত্রীর সুবিধার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র বানানো হয়েছে। অপ্রয়োজনে রাস্তা করা হয়েছে, অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় অর্থ নষ্ট হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেটসংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ। দেশের অর্থনীতিবিদেরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ না দিয়ে, ব্যবসা সুবিধা না দিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হবে।’ বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, নিজস্ব গ্যাসের মজুত কমে আসায় এখন আমদানি করা এলএনজি–নির্ভরতা বাড়ছে। এতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব। তিনি বলেন, ছাদে সৌর প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকেও অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বিতর্ক ও বিকল্প ভাবনার কেন্দ্র হয়ে উঠবে এ সমিতি। ভবিষ্যতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা হবে। এখানে নির্দিষ্ট কোনো পক্ষের অবস্থান থাকবে না।