ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী -ছবি সংগৃহীত

গাজীপুর প্রতিনিধি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি কোনো অবস্থায় কনট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) আনতে পারতাম। এজন্য আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গাছা থানা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো, জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, হয়রানি পোহাতে হবে না। “মামলা বাণিজ্য” বন্ধ করার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মামলা বাণিজ্যে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মিথ্যা সংবাদ হলে দুর্নীতি যারা করে তারা সুবিধা পায়, পার্শ্ববর্তী দেশও সুবিধা পায়। পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয় ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরো ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি তারা কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়।’
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কী? আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে বা থাকতে পারে। এজন্য আমরা দেখবো। যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। যারা নির্দোষ সে যাতে কোনোমতে সাজা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

গাজীপুর প্রতিনিধি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি কোনো অবস্থায় কনট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) আনতে পারতাম। এজন্য আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গাছা থানা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো, জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, হয়রানি পোহাতে হবে না। “মামলা বাণিজ্য” বন্ধ করার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মামলা বাণিজ্যে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মিথ্যা সংবাদ হলে দুর্নীতি যারা করে তারা সুবিধা পায়, পার্শ্ববর্তী দেশও সুবিধা পায়। পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয় ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরো ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি তারা কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়।’
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কী? আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে বা থাকতে পারে। এজন্য আমরা দেখবো। যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। যারা নির্দোষ সে যাতে কোনোমতে সাজা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।’