ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ চাকরিচ্যুত

  • আপডেট সময় : ১১:১১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় অন্তুর্ভুক্তিসহ অনিময়ের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে আলোচনায় আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
‘হত্যা ও চাকরি খাওয়ার হুমকি’ পাওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ। তার ষোল দিনের মাথায় বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে তার অপসারণের আদেশ কার্যকর হবে এবং বিধি অনুযায়ী তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।
কোনো ধরনের ‘কারণ দর্শাও নোটিস না দিয়ে’ এভাবে অপসারণের বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে বর্ণনা করে শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তিনি ‘প্রভাবশালী মহলের’ রোষানলের শিকার।
“সাত বছরের চাকরি জীবনের সাড়ে তিন বছর চট্টগ্রামে কাজ করেছি। এ সময় ভুলভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু চাকরি যাবার মত কোনো কাজ আমি করিনি।”
শরীফকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি নিয়ে তার সহকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনও করেছেন একদল কর্মী।
তবে দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলছেন, শরীফ উদ্দিন এমন কিছু করেছিলেন, যাতে ওই সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সে যে কাজকারবার করেছে, তাতে তাকে নোটিস দিয়ে অপসারণ করার প্রয়োজন নেই। সে এমন অনিয়ম করেছে, তাকে সরাসরিই অপসারণ করতে হয়েছে।”
তবে ঠিক কী অনিয়ম শরীফ করেছেন, অথবা কী কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি দুদক চেয়ারম্যান।
২০০৮ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিস দিয়ে অথবা ৯০ দিনের বেতন পরিশোধ করে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুযোগ আছে।
‘হুমকি পেয়ে’ থানায় দুদক কর্মকর্তার জিডি
অবৈধ সংযোগ: কর্ণফুলী গ্যাসের জিএমসহ গ্রেপ্তার ২
শরীফ উদ্দিন, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালিতে উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে সাড়ে তিন বছর ছিলেন চট্টগ্রামে।
গত বছরের জুন মাসে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটর তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক, সেসব মামলার বাদী ছিলেন শরীফঅ
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা সনদ দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও তিনি আলোচিত হন।
অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করেন শরীফ।
পরে অভিযোগের ‘সত্যতা পেয়ে’ কেজিডিসিএল এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সাবেক বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে গত বছরের ১০ জুন মামলা করেন তিনি।
জুন মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম থেকে তাকে পটুয়াখালীতে বদলির আদেশ জারি হয়। ওই আদেশ নিয়েও সে সময় নানা আলোচনা হয়েছিল।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তখন বলা হয়েছিল, এক কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করায় নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে শরীফকে পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এর আট মাসের মাথায় শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকেই অপসারণ করা হল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত শুরু করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। সে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।
পটুয়াখালীর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত থাকলেও শরীফের পরিবার থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীতে। গত ৩০ জানুয়ারি সেখানে গিয়ে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা ‘হত্যার হুমকি দিয়েছেন’ বলে খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ উদ্দিন।
চাকরি হারানোর পর বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এখন তিনি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়েই শঙ্কিত।
“আমার এ অপসারণ অসাংবিানিক। আমার বিরুদ্ধে কমিশনের কিছু অনুসন্ধান চলমান আছে। আমি সেগুলোর সন্তোষজনক জবাবও দিয়েছি। চট্টগ্রাম থেকে বদলি আদেশ হওয়ার পরপরই আমি কমিশনকে জানিয়েছিলাম প্রভাবশালী মহল আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।”
শরীফ বলেন, চট্টগ্রামে থাকাকালে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় ১৫৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন তিনি, যেখানে অ্যাডমিন ক্যাডার ও পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ছিলেন।
“পেট্রোবাংলার প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের (কেজিডিসিএল) অনিয়মের বিরুদ্ধে ১০টি মামলার সুপারিশ করেছি এবং সাবেক এক এমপির ছেলেসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করে একটি মামলাও করেছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের মুখোশ উম্মোচন করেছি, পাঁচটি মামলার সুপারিশ করেছি।
“এসব বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েছি। আমার বাসায় গিয়ে একটি মহল হুমকি দিয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল। এর ১৬ দিনের মধ্যেই আমার অপসারণ আদেশ হয়েছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ চাকরিচ্যুত

আপডেট সময় : ১১:১১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় অন্তুর্ভুক্তিসহ অনিময়ের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে আলোচনায় আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
‘হত্যা ও চাকরি খাওয়ার হুমকি’ পাওয়ার কথা জানিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ। তার ষোল দিনের মাথায় বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে তার অপসারণের আদেশ কার্যকর হবে এবং বিধি অনুযায়ী তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।
কোনো ধরনের ‘কারণ দর্শাও নোটিস না দিয়ে’ এভাবে অপসারণের বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে বর্ণনা করে শরীফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তিনি ‘প্রভাবশালী মহলের’ রোষানলের শিকার।
“সাত বছরের চাকরি জীবনের সাড়ে তিন বছর চট্টগ্রামে কাজ করেছি। এ সময় ভুলভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু চাকরি যাবার মত কোনো কাজ আমি করিনি।”
শরীফকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি নিয়ে তার সহকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনও করেছেন একদল কর্মী।
তবে দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলছেন, শরীফ উদ্দিন এমন কিছু করেছিলেন, যাতে ওই সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সে যে কাজকারবার করেছে, তাতে তাকে নোটিস দিয়ে অপসারণ করার প্রয়োজন নেই। সে এমন অনিয়ম করেছে, তাকে সরাসরিই অপসারণ করতে হয়েছে।”
তবে ঠিক কী অনিয়ম শরীফ করেছেন, অথবা কী কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি দুদক চেয়ারম্যান।
২০০৮ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিস দিয়ে অথবা ৯০ দিনের বেতন পরিশোধ করে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুযোগ আছে।
‘হুমকি পেয়ে’ থানায় দুদক কর্মকর্তার জিডি
অবৈধ সংযোগ: কর্ণফুলী গ্যাসের জিএমসহ গ্রেপ্তার ২
শরীফ উদ্দিন, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালিতে উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে সাড়ে তিন বছর ছিলেন চট্টগ্রামে।
গত বছরের জুন মাসে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটর তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক, সেসব মামলার বাদী ছিলেন শরীফঅ
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা সনদ দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও তিনি আলোচিত হন।
অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করেন শরীফ।
পরে অভিযোগের ‘সত্যতা পেয়ে’ কেজিডিসিএল এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সাবেক বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে গত বছরের ১০ জুন মামলা করেন তিনি।
জুন মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে বেশ কয়েকটি আলোচিত মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম থেকে তাকে পটুয়াখালীতে বদলির আদেশ জারি হয়। ওই আদেশ নিয়েও সে সময় নানা আলোচনা হয়েছিল।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তখন বলা হয়েছিল, এক কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করায় নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে শরীফকে পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এর আট মাসের মাথায় শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকেই অপসারণ করা হল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত শুরু করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। সে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।
পটুয়াখালীর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত থাকলেও শরীফের পরিবার থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীতে। গত ৩০ জানুয়ারি সেখানে গিয়ে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা ‘হত্যার হুমকি দিয়েছেন’ বলে খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন শরীফ উদ্দিন।
চাকরি হারানোর পর বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এখন তিনি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়েই শঙ্কিত।
“আমার এ অপসারণ অসাংবিানিক। আমার বিরুদ্ধে কমিশনের কিছু অনুসন্ধান চলমান আছে। আমি সেগুলোর সন্তোষজনক জবাবও দিয়েছি। চট্টগ্রাম থেকে বদলি আদেশ হওয়ার পরপরই আমি কমিশনকে জানিয়েছিলাম প্রভাবশালী মহল আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।”
শরীফ বলেন, চট্টগ্রামে থাকাকালে কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় ১৫৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন তিনি, যেখানে অ্যাডমিন ক্যাডার ও পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ছিলেন।
“পেট্রোবাংলার প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের (কেজিডিসিএল) অনিয়মের বিরুদ্ধে ১০টি মামলার সুপারিশ করেছি এবং সাবেক এক এমপির ছেলেসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করে একটি মামলাও করেছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের মুখোশ উম্মোচন করেছি, পাঁচটি মামলার সুপারিশ করেছি।
“এসব বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েছি। আমার বাসায় গিয়ে একটি মহল হুমকি দিয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল। এর ১৬ দিনের মধ্যেই আমার অপসারণ আদেশ হয়েছে।”