ক্রীড়া প্রতিবেদক : অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে রেকর্ডটি শহিদ আফ্রিদির। অবশেষে তাকে স্পর্শ করতে পারলেন বাংলাদেশের একজন। বিপিএলে সবচেয়ে ‘কিপটে’ বোলিংয়ের রেকর্ডে পাকিস্তানি লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডারের পাশে নাম লেখালেন বাংলাদেশের অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। বিপিএলে মঙ্গলবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ১ মেডেন নিয়ে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন নাহিদুল। পুরো ৪ ওভার বোলিং করে বিপিএলে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড ভাগাভাগি হয়ে গেল এতে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে বরিশালেরই আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি বুলসের বিপক্ষে আফ্রিদির বোলিং ফিগার ছিল ৪-১-৫-২।
নাহিদুলের কৃতিত্ব একটি জায়গায় বেশি। তার চার ওভারের দুটিই পাওয়ারপ্লেতে। ইনিংসের প্রথম ওভারটি নেন তিনি মেডেন, আউট করেন সৈকত আলিকে। নিজের ওভারে ওভারে ১ রান দিয়ে নেন সাকিব আল হাসানের উইকেট। পরে ইনিংসের অষ্টম ওভারে আবারও দেন কেবল ১ রান। দশম ওভারে ছিলেন একটু ‘খরুচে।’ এবার দেন ৩ রান, তবে প্রাপ্তি ক্রিস গেইলের উইকেট। ২০১৫ সালে আফ্রিদির ওই ৪ ওভার ছিল সবগুলোই ইনিংসের মাঝের সময়টায়। আফ্রিদি ও নাহিদুলের পরে রেকর্ডে যৌথভাবে দুই আছেন নিউ জিল্যান্ডের জ্যাকব ওরাম ও আফগানিস্তানের রশিদ খান। ২০১৩ বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন ওরাম। ২০১৭ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে সমান রান দিয়েছিলেন রশিদ। বাংলাদেশে বোলারদের মধ্যে নাহিদের আগে বিপিএলে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে সাকিব আল হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু ও আরাফাত সানির। তিনজনই ৪ ওভারে দেন ৮ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ৪ ওভারের সবকটি মেডেন নেওয়ার কীর্তিও আছে। গত নভেম্বরেই পানামার বিপক্ষে কানাডার বাঁহাতি স্পিনার সাদ বিন জাফরের বোলিং ফিগার ছিল ৪-৪-০-২!
দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফ্রিদির রেকর্ড ছুঁলেন নাহিদুল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ