প্রত্যাশা ডেস্ক : পৃথিবীর বাইরে মানবসভ্যতা গড়ে তুলতে চাই বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি, আনুসাঙ্গিক ও মানব পরিবহন সক্ষমতা। এই কর্মযজ্ঞ সফল করতে একটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেট অতিপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন স্পেসএক্স কা-ারী ইলন মাস্ক। আর তাই স্পেসএক্সের বাজির ঘোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘স্টারশিপ’ রকেট।
হালের আলোচিত‘স্টারশিপ’ রকেট নকশার বিচারে আদতে দুটি অংশে বিভক্ত। নিচের অংশে আছে স্পেসএক্সের ‘সুপার হেভি’ বুস্টার। আর উপরের অংশে আছে ‘স্টারশিপ’ স্পেসক্র্যাফট।
বুষ্টারের মূল কাজই হচ্ছে স্টারশিপকে পৃথিবীর বায়ুম-লের সীমানার ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করা। আর একবারে একশ মেট্রিক টন ক্রু আর কার্গো বহনে সক্ষম স্টারশিপ।
বুষ্টার রকেট আর মূল মহাকাশযানকে একসঙ্গে ‘স্টারশিপ’ বলেই আখ্যা দিচ্ছে স্পেসএক্স। একযোগে দুটি অংশের উচ্চতা চারশ’ ফুট। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি তুলনা করে বলছে, স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়েও একশ ফিট উঁচু স্টারশিপ।
একশ মেট্রিক টন ওজনের কার্গো বহন করে মহাকাশে পৌঁছে দেওয়া বর্তমান প্রযুক্তির বিচারেও সহজ কোনো কাজ নয়। এই কাজটিতে স্পেসএক্সের ৩৩টি র্যাপটর ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করে স্টারশিপের ‘সুপার হেভি’ বুস্টার। ব্যাকআপ হিসেবে থাকে আরো ৭টি ইঞ্জিন।
এই প্রকল্পটি বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টি কাড়ছে বলে জানিয়েছে সিএনবিসি। ২০২১ সালে মহাকাশ কেন্দ্রীক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে, যা আগের এক দশকের তুলনায় দশগুণ বেশি।
বিনিয়োগের একটা বড় অংশ খরচ হয়েছে পৃথিবীর চারপাশে স্যাটেলাইট নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণে। তবে, সে দৃশ্যপটও পাল্টে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকেনজি অ্যান্ড কো.-এর কর্মী ব্রুক স্টোকস জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। চাঁদ, মঙ্গল তারপর মহাকশের আরো গভীরে ভাবুন। ২০২১ সালে চাঁদ পার হয়ে আরো দূরের মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগ ছিল প্রায় একশ কোটি ডলার। এখন পর্যন্ত আমাদের দেখা সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ।”
অন্যদিকে, বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার ‘স্টারলিংক’ প্রকল্পের পাশাপাশি ‘স্টারশিপ’ প্রকল্পে সাফল্য পেলে লাখ কোটি ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে স্পেসএক্স।
দুর্গম মহাকাশ জয়ের চাবিকাঠি স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ’?
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ