ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় বগুড়ার আলোচিত সেই তুফান সরকারের ১৩ বছরের কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বগুড়ার স্পেশাল জজ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল।
তুফান সরকার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরের চক্র সূত্রাপুর এলাকার মৃত মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তুফান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে আছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৮ সালের মার্চে দুদক থেকে তাঁর কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠানো হয়। ওই মাসেই দুদকে ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্থাবর ও ৩৮ লাখ ৯ হাজার ১৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়। সম্পদ যাচাই করে দুদক তুফানের জমি, বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংকে সঞ্চয়সহ ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকা মূল্যের সম্পদের সন্ধান পায়। তাঁর আয়ের বৈধ কোনো উৎস ও তিনি কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল কিংবা কোনো খাতের আয় প্রদর্শন ও আয়কর পরিশোধের প্রমাণ দিতে পারেননি। এ কারণে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বগুড়া সমন্বিত দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ ও ২৭ (১) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে দুদক তুফান সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ড প্রদান করেছেন। এ ছাড়া সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এক মামলার সাজার মেয়াদ শেষে আরেক মামলার সাজা কার্যক্রম হবে বলেও আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঋণ পরিশোধে ৮ বছর সময় পাবেন আমদানিকারকরা

দুদকের মামলায় বগুড়ার আলোচিত সেই তুফান সরকারের ১৩ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়া প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বগুড়ার স্পেশাল জজ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ ছিল।
তুফান সরকার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরের চক্র সূত্রাপুর এলাকার মৃত মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তুফান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে আছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৮ সালের মার্চে দুদক থেকে তাঁর কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠানো হয়। ওই মাসেই দুদকে ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্থাবর ও ৩৮ লাখ ৯ হাজার ১৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়। সম্পদ যাচাই করে দুদক তুফানের জমি, বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংকে সঞ্চয়সহ ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকা মূল্যের সম্পদের সন্ধান পায়। তাঁর আয়ের বৈধ কোনো উৎস ও তিনি কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল কিংবা কোনো খাতের আয় প্রদর্শন ও আয়কর পরিশোধের প্রমাণ দিতে পারেননি। এ কারণে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বগুড়া সমন্বিত দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ ও ২৭ (১) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে দুদক তুফান সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ড প্রদান করেছেন। এ ছাড়া সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এক মামলার সাজার মেয়াদ শেষে আরেক মামলার সাজা কার্যক্রম হবে বলেও আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন।