ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ায় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৮ আগস্ট (সোমবার) দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক নুর হোসেন খানকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রহমান ভূইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন সহকারী ব্যবস্থাপক মিরন মিয়া শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ব্যাংকটির সাবেক উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে আসামি করেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার রমনা করপোরেট শাখার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মাচার লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণের দায় সৃষ্টি করে নিজেরা আত্মসাৎ করেন। ওই হিসেবে সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেন। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.জহুরুল হক। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই রুলের শুনানি নিয়ে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

আপডেট সময় : ০৩:২৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ায় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৮ আগস্ট (সোমবার) দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন উপপরিচালক নুর হোসেন খানকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রহমান ভূইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন সহকারী ব্যবস্থাপক মিরন মিয়া শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ব্যাংকটির সাবেক উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে আসামি করেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার রমনা করপোরেট শাখার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মাচার লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণের দায় সৃষ্টি করে নিজেরা আত্মসাৎ করেন। ওই হিসেবে সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেন। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো.জহুরুল হক। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই রুলের শুনানি নিয়ে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেন।