ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে যেতে ৯০ দিন সময় চেয়েছে বসুন্ধরার সোবহান পরিবার

  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমি জবরদখল, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (২৬ মে) আইনজীবীর মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তারা এ আবেদন করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৯০ দিনের সময় চেয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। তবে আইনে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ফলে চাওয়া সময় মঞ্জুর করা হবে কি না- তা নির্ভর করছে অনুসন্ধান কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের ওপর।

আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২০ মে চিঠি দেয় দুদক। এর মধ্যে ২৫ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, তাদের বড় ছেলে কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান এবং সাদাতের স্ত্রী সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহানকে। আর ২৬ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, তার স্ত্রী ও গ্রপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর), ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও তার স্ত্রী, গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহানকে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী বড় বড় ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়েও অনুসন্ধানে নামে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বসুন্ধরাসহ পাঁচ বড় কোম্পানির মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে এবং তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায়। এরপর অক্টোবরে আহমেদ আকবার সোবহান ও তার চার ছেলেসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ওই মাসেই দুদকের আবেদনে আহমেদ আকবর সোবহানসহ পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

এরপর দেড় লাখ কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল এবং অর্থপাচারের অভিযোগে সিআইডি গত সেপ্টেম্বরে আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত জানায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে যেতে ৯০ দিন সময় চেয়েছে বসুন্ধরার সোবহান পরিবার

আপডেট সময় : ০৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমি জবরদখল, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের অভিযোগ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (২৬ মে) আইনজীবীর মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তারা এ আবেদন করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৯০ দিনের সময় চেয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। তবে আইনে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ফলে চাওয়া সময় মঞ্জুর করা হবে কি না- তা নির্ভর করছে অনুসন্ধান কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের ওপর।

আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২০ মে চিঠি দেয় দুদক। এর মধ্যে ২৫ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, তাদের বড় ছেলে কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান এবং সাদাতের স্ত্রী সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহানকে। আর ২৬ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, তার স্ত্রী ও গ্রপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানভীর), ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও তার স্ত্রী, গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহানকে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী বড় বড় ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়েও অনুসন্ধানে নামে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বসুন্ধরাসহ পাঁচ বড় কোম্পানির মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে এবং তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায়। এরপর অক্টোবরে আহমেদ আকবার সোবহান ও তার চার ছেলেসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ওই মাসেই দুদকের আবেদনে আহমেদ আকবর সোবহানসহ পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

এরপর দেড় লাখ কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল এবং অর্থপাচারের অভিযোগে সিআইডি গত সেপ্টেম্বরে আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত জানায়।