ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

দুটি বড় ব্যাংকে একীভূত হতে পারে সমস্যাগ্রস্ত ইসলামী ব্যাংকগুলো

  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের ইসলামি ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে বিদ্যমান সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি বড় ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) প্রাঙ্গণে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গভর্নর বলেন, ‘বর্তমানে বেশিরভাগ ইসলামি ঘরানার ব্যাংক নানা ধরনের সংকটে রয়েছে। এ খাতের জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি, আইনি দিক থেকেও ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের জীবন কঠিন করে তুলতে হবে, যাতে অন্যরা এমন কাজ করতে ভয় পায়। এ জন্য আইনগত ও নৈতিক উভয় ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ গভর্নর তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন ও হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি বন্ধ করতে হবে। একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় পুরো ব্যাংকিং খাতকে আনতে হবে, এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ বাংলাদেশ ব্যাংক তার তদারকি ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ‘যাতে আমরা ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করেই অনিয়ম শনাক্ত করতে পারি,’ বলেন গভর্নর। এই সম্মেলনে ব্যাংক খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা।
অর্থ পাচারকারীদের হুঁশিয়ারি

এদিকে ভবিষ্যতে যাতে কেউ দেশ থেকে টাকা পাচার করার সাহস না পায়, সেজন্য পাচারকারীদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, এ লক্ষ্যে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গভর্নর। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং ভবিষ্যতে অর্থপাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যারা অর্থপাচার করেছে, তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।’

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বলে জানান তিনি। ব্যাংক খাতের সমস্যার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও দায় রয়েছে স্বীকার করে গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও শক্তিশালী ও স্বায়ত্তশাসিত করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে আগাম অনিয়ম শনাক্ত করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি কার্যক্রমকে আরও আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুটি বড় ব্যাংকে একীভূত হতে পারে সমস্যাগ্রস্ত ইসলামী ব্যাংকগুলো

আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের ইসলামি ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে বিদ্যমান সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি বড় ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) প্রাঙ্গণে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গভর্নর বলেন, ‘বর্তমানে বেশিরভাগ ইসলামি ঘরানার ব্যাংক নানা ধরনের সংকটে রয়েছে। এ খাতের জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি, আইনি দিক থেকেও ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যারা অর্থ পাচার করেছেন, তাদের জীবন কঠিন করে তুলতে হবে, যাতে অন্যরা এমন কাজ করতে ভয় পায়। এ জন্য আইনগত ও নৈতিক উভয় ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ গভর্নর তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন ও হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি বন্ধ করতে হবে। একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় পুরো ব্যাংকিং খাতকে আনতে হবে, এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ বাংলাদেশ ব্যাংক তার তদারকি ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ‘যাতে আমরা ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করেই অনিয়ম শনাক্ত করতে পারি,’ বলেন গভর্নর। এই সম্মেলনে ব্যাংক খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা।
অর্থ পাচারকারীদের হুঁশিয়ারি

এদিকে ভবিষ্যতে যাতে কেউ দেশ থেকে টাকা পাচার করার সাহস না পায়, সেজন্য পাচারকারীদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, এ লক্ষ্যে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গভর্নর। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং ভবিষ্যতে অর্থপাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যারা অর্থপাচার করেছে, তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।’

এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বলে জানান তিনি। ব্যাংক খাতের সমস্যার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও দায় রয়েছে স্বীকার করে গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও শক্তিশালী ও স্বায়ত্তশাসিত করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে আগাম অনিয়ম শনাক্ত করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি কার্যক্রমকে আরও আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী।