ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

দুজনকে গুলি করে হত্যা করা কিশোরের খালাসে ক্ষুব্ধ বাইডেন

  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও দাঙ্গার সময় দুজনকে গুলি করে হত্যার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মার্কিন কিশোর কাইল রিটেনহাউস। গত বছরের এ ঘটনায় আটক হওয়া কাইলকে গত শুক্রবার খালাস দিয়েছেন দেশটির আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহের ট্রায়ালে রিটেনহাউস সাক্ষ্য দেয়—তাঁর ওপর আক্রমণের পর আত্মরক্ষার জন্য সে এ আর-১৫ আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং একজনকে আহত করেছে। এর পরেও ঘটনার সময় ১৭ বছর বয়সী শিশু হওয়ার কারণে তাঁকে খালাস দেন আদালত। আদালতে রায় পড়ার সঙ্গে তিনি কেঁদে ওঠেন এবং আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাঁর আইনজীবীকে জড়িয়ে ধরেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, উইসকনসিনের কেনোশাতে ২০২০ সালের আগস্টে সংঘটিত গুলি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য অভিযোগের জন্য ১৮ বছর বয়সী রিটেনহাউস দোষী নন। প্রসিকিউটরেরা তাঁর আত্মরক্ষার দাবিটি খারিজ করে বলেছেন, তখনকার ১৭ বছর বয়সী রিটেনহাউসকে কেনোশাতে বিক্ষোভের রাতে গুলি করতে ‘উত্তেজিত করা হয়েছিল’। চার দিন ধরে মোট ২৬ ঘণ্টা আলোচনার পরে দেওয়া রায়ে জুরি বোর্ড তাঁকে খালাস দেন।
এদিকে, রিটেনহাউসের খালাস সংক্রান্ত রায়ের পরে কেনোশা কোর্ট হাউসের বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে তাঁর সমর্থকদের উল্লাস ও করতালি শোনা যায়। তবে বেশ কিছু বিরোধীরা ঢোল পিটিয়ে চারদিকে মিছিল করে এবং স্লোগান দিতে থাকে, ‘দোষী, দোষী, পুরো সিস্টেমই নরকের মতো দোষী’।
এরই মধ্যে এ রায় নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। বাইডেন বলেন, ‘যদিও কেনোশার রায়ে অনেক মার্কিনি ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন বোধ করবে; যার মধ্যে আমিও আছি। তবে আমাদের অবশ্যই মানতে হবে যে, আদালত রায় দিয়েছেন। একটি বিবৃতিতে এ মত প্রকাশের পরে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে, আইনের শাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মতামত প্রকাশের আহ্বান জানাই।’
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভ থেকে উদ্ভূত আন্দোলনে এ ঘটনা ঘটেছিল। গত বছর দেশব্যাপী এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রেও জাতিগত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে; প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় অনেককে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

দুজনকে গুলি করে হত্যা করা কিশোরের খালাসে ক্ষুব্ধ বাইডেন

আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও দাঙ্গার সময় দুজনকে গুলি করে হত্যার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মার্কিন কিশোর কাইল রিটেনহাউস। গত বছরের এ ঘটনায় আটক হওয়া কাইলকে গত শুক্রবার খালাস দিয়েছেন দেশটির আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহের ট্রায়ালে রিটেনহাউস সাক্ষ্য দেয়—তাঁর ওপর আক্রমণের পর আত্মরক্ষার জন্য সে এ আর-১৫ আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং একজনকে আহত করেছে। এর পরেও ঘটনার সময় ১৭ বছর বয়সী শিশু হওয়ার কারণে তাঁকে খালাস দেন আদালত। আদালতে রায় পড়ার সঙ্গে তিনি কেঁদে ওঠেন এবং আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাঁর আইনজীবীকে জড়িয়ে ধরেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, উইসকনসিনের কেনোশাতে ২০২০ সালের আগস্টে সংঘটিত গুলি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য অভিযোগের জন্য ১৮ বছর বয়সী রিটেনহাউস দোষী নন। প্রসিকিউটরেরা তাঁর আত্মরক্ষার দাবিটি খারিজ করে বলেছেন, তখনকার ১৭ বছর বয়সী রিটেনহাউসকে কেনোশাতে বিক্ষোভের রাতে গুলি করতে ‘উত্তেজিত করা হয়েছিল’। চার দিন ধরে মোট ২৬ ঘণ্টা আলোচনার পরে দেওয়া রায়ে জুরি বোর্ড তাঁকে খালাস দেন।
এদিকে, রিটেনহাউসের খালাস সংক্রান্ত রায়ের পরে কেনোশা কোর্ট হাউসের বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে তাঁর সমর্থকদের উল্লাস ও করতালি শোনা যায়। তবে বেশ কিছু বিরোধীরা ঢোল পিটিয়ে চারদিকে মিছিল করে এবং স্লোগান দিতে থাকে, ‘দোষী, দোষী, পুরো সিস্টেমই নরকের মতো দোষী’।
এরই মধ্যে এ রায় নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। বাইডেন বলেন, ‘যদিও কেনোশার রায়ে অনেক মার্কিনি ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন বোধ করবে; যার মধ্যে আমিও আছি। তবে আমাদের অবশ্যই মানতে হবে যে, আদালত রায় দিয়েছেন। একটি বিবৃতিতে এ মত প্রকাশের পরে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে, আইনের শাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মতামত প্রকাশের আহ্বান জানাই।’
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভ থেকে উদ্ভূত আন্দোলনে এ ঘটনা ঘটেছিল। গত বছর দেশব্যাপী এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রেও জাতিগত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে; প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় অনেককে।