ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

দুই সপ্তাহ পেরোতেই আইফোন ১৪ প্লাসের উৎপাদনে লাগাম

  • আপডেট সময় : ০১:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাজারে আনুষ্ঠানিক অভিষেকের দুই সপ্তাহের মাথায় আইফোন ১৪ প্লাসের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপল সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত দুই সূত্রের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ইনফর্মেশন জানিয়েছে, চীনের অন্তত একটি যন্ত্রাংশ উৎপাদককে আইফোন ১৪ প্লাসের যন্ত্রাংশ উৎপাদন স্থগিত করতে বলেছে কুপার্টিনোর এই টেক জায়ান্ট। পাশাপাশি, বাজারে আইফোন ১৪ প্রো-এর ‘সাশ্রয়ী’ সংস্করণ হিসেবে আনা ১৪ প্লাসের চাহিদা অ্যাপল পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে বলে জানিয়েছে দ্য ইনফর্মেশন। আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশকে জোড়া দিয়ে আইফোনের বিভিন্ন অংশ নির্মাণ করে- চীনের এমন দুটি কারখানাও তাদের উৎপাদন যথাক্রমে ৭০ শতাংশ ও ৯০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে বলে দ্য ইনফর্মেশনকে জানিয়েছে এক গোপন সূত্র। এ প্রসঙ্গে দ্য ইনফর্মেশনের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি অ্যাপলের এক মুখপাত্র। বৈশ্বিক অর্থনীতির নাজুক অবস্থা এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় খরচ কমিয়ে এনেছেন ভোগপণ্য ক্রেতাদের অনেকেই। তবে আইফোন ১৪ প্লাসের ‘বেসিক’ মডেলের দাম ৮৯৯ ডলার যা ১৪ প্রো-এর চেয়ে কেবল একশ ডলার কম। তাই আগ্রহী ক্রেতাদের অনেকেই সম্ভবত বেশি ফিচারের ১৪ প্রো-এর দিকে ঝুঁকছেন বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। উৎপাদন জটিলতার কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচীর প্রায় এক মাস পরে বাজারে এসেছে আইফোন ১৪ প্লাস; বাজারে ডিভাইসটির চাহিদাও প্রত্যাশার চেয়ে কম। সেপ্টেম্বরের শেষেই বাজার বিশ্লেষক মিং চি কুও বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক বার্তায় আইফোন ১৪ এবং আইফোন ১৪ প্লাসের চাহিদা আশানরূপ না হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছিলেন।
গেল সপ্তাহেই তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম ‘ডিজিটাইমস’ও এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ব্যয়বহুল প্রো মডেলের চাহিদা থাকলেও আইফোন ১৪ এবং ১৪ প্লাস নিয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ প্রত্যাশার চেয়ে কম। অন্যদিকে, বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইফোন ১৪-এর উৎপাদন নয় কোটি থেকে বাড়িয়ে নয় কোটি ৬০ লাখে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও, সে পরিকল্পনা বাতিল করেছে অ্যাপল। প্রো সংস্করণের চাহিদা বেশি থাকায় উৎপাদনের বেলাতেও নতুন আইফোনের প্রো সংস্করণ নির্মাণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কোম্পানিটি। ইনফর্মেশন আরও জানিয়েছে, অ্যাপল অন্তত একটি উৎপাদন কারখানাকে আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের উৎপাদন বাড়াতে বলেছে। তবে, যত আইফোন ১৪ প্লাসের উৎপাদন বাতিল করা হয়েছে, প্রো সংস্করণের উৎপাদন ততটা বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন ওই সূত্র।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোসলের আগে ত্বককে রাখবে সতেজ যে প্যাক

দুই সপ্তাহ পেরোতেই আইফোন ১৪ প্লাসের উৎপাদনে লাগাম

আপডেট সময় : ০১:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাজারে আনুষ্ঠানিক অভিষেকের দুই সপ্তাহের মাথায় আইফোন ১৪ প্লাসের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপল সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত দুই সূত্রের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ইনফর্মেশন জানিয়েছে, চীনের অন্তত একটি যন্ত্রাংশ উৎপাদককে আইফোন ১৪ প্লাসের যন্ত্রাংশ উৎপাদন স্থগিত করতে বলেছে কুপার্টিনোর এই টেক জায়ান্ট। পাশাপাশি, বাজারে আইফোন ১৪ প্রো-এর ‘সাশ্রয়ী’ সংস্করণ হিসেবে আনা ১৪ প্লাসের চাহিদা অ্যাপল পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে বলে জানিয়েছে দ্য ইনফর্মেশন। আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশকে জোড়া দিয়ে আইফোনের বিভিন্ন অংশ নির্মাণ করে- চীনের এমন দুটি কারখানাও তাদের উৎপাদন যথাক্রমে ৭০ শতাংশ ও ৯০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে বলে দ্য ইনফর্মেশনকে জানিয়েছে এক গোপন সূত্র। এ প্রসঙ্গে দ্য ইনফর্মেশনের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি অ্যাপলের এক মুখপাত্র। বৈশ্বিক অর্থনীতির নাজুক অবস্থা এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় খরচ কমিয়ে এনেছেন ভোগপণ্য ক্রেতাদের অনেকেই। তবে আইফোন ১৪ প্লাসের ‘বেসিক’ মডেলের দাম ৮৯৯ ডলার যা ১৪ প্রো-এর চেয়ে কেবল একশ ডলার কম। তাই আগ্রহী ক্রেতাদের অনেকেই সম্ভবত বেশি ফিচারের ১৪ প্রো-এর দিকে ঝুঁকছেন বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। উৎপাদন জটিলতার কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচীর প্রায় এক মাস পরে বাজারে এসেছে আইফোন ১৪ প্লাস; বাজারে ডিভাইসটির চাহিদাও প্রত্যাশার চেয়ে কম। সেপ্টেম্বরের শেষেই বাজার বিশ্লেষক মিং চি কুও বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক বার্তায় আইফোন ১৪ এবং আইফোন ১৪ প্লাসের চাহিদা আশানরূপ না হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছিলেন।
গেল সপ্তাহেই তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম ‘ডিজিটাইমস’ও এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ব্যয়বহুল প্রো মডেলের চাহিদা থাকলেও আইফোন ১৪ এবং ১৪ প্লাস নিয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ প্রত্যাশার চেয়ে কম। অন্যদিকে, বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইফোন ১৪-এর উৎপাদন নয় কোটি থেকে বাড়িয়ে নয় কোটি ৬০ লাখে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও, সে পরিকল্পনা বাতিল করেছে অ্যাপল। প্রো সংস্করণের চাহিদা বেশি থাকায় উৎপাদনের বেলাতেও নতুন আইফোনের প্রো সংস্করণ নির্মাণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কোম্পানিটি। ইনফর্মেশন আরও জানিয়েছে, অ্যাপল অন্তত একটি উৎপাদন কারখানাকে আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের উৎপাদন বাড়াতে বলেছে। তবে, যত আইফোন ১৪ প্লাসের উৎপাদন বাতিল করা হয়েছে, প্রো সংস্করণের উৎপাদন ততটা বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন ওই সূত্র।