ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

দুই সপ্তাহ ঘরে থেকে ৫০ বছর ভালোভাবে বাঁচুন: আইজিপি

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীতে দীর্ঘদিন সুস্থ দেহে বেঁচে থাকার জন্য হলেও লকডাউনের মধ্যে দুই সপ্তাহ সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, “করোনার সেকেন্ড ওয়েভের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে আমাদের প্রত্যেকের আচরণের ওপর৷ আমরা সবাই মিলেই রাষ্ট্র। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হবেন না। দুই সপ্তাহ বাসায় বসে থাকা খুব বেশি কিছু না, যদি এর জন্য আমরা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারি।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ শুরু হয়। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অফিস-আদালত বন্ধ রেখে যান্ত্রিক যানবাহনে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে রাস্তায় বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে জনসাধারণকে। সেই নিষেধ না মানায় প্রতিদিনই গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হচ্ছে। বেনজীর বলেন, “গুলশান এলাকায় অনেক ট্রাফিক বেড়ে গেছে৷ প্রত্যেকেরই জরুরি কাজ। এই মহামারীতে যদি ১৮ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, প্রত্যেকের জন্য হাসপাতালের বেড দেওয়া সম্ভব না। “দয়া করে রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। জরুরি কাজ একটু কমান। এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করব কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।”
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, “ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। এই শহরে কয়েক কোটি লোকের বাস৷ এর বাইরেও ঢাকার বাইরের আশেপাশের এলাকা থেকে কাজের জন্য অনেকে ঢাকায় আসেন। এই শহরে বৈশ্বিক ধনী লোক থেকে শুরু করে বস্তিবাসীরা বাস করে। সবাই মিলেই আমরা করোনা অতিমারীর দুর্যোগ মোকাবিলা করছি।
“একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সে সময় খালি হাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছি আমরা। কারণ আমাদের জাতিগত ঐক্য ছিল। এই করোনা দুর্যোগও আমরা মোকাবিলা করতে পারব, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে। যে যেখানে আছি, সেখান থেকে কাজ করতে হবে।”
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অভিজ্ঞতা থেকে বেনজীর আহমেদ বলেন, চাইলেও হুট করে দেশে হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব না। সুতরাং অসুস্থ হতে যেন না হয়, সেজন্য মানুষকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
“আইসিউ বানালেই কিন্তু আইসিউ চালানো যায় না। আইসিইউর জন্য বিশেষায়িত ডাক্তার, নার্স দরকার। বিশেষায়িত মেডিকেল স্টাফ দরকার। আপনি চাইলে আইসিউ বেড কিনতে পারবেন। কিন্তু আপনি চাইলে সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বানাতে পারবেন না।
“সম্ভব হলে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ট্যাংক বসিয়ে লাইন করে দেওয়া উচিত। তাতে করে একটা ট্যাংক থেকে অনেক রোগী অক্সিজেন নিতে পারবে। আমরা আমাদের হসপিটালে সেটা করেছি। এক সময় আমাদের আইসিইউ বেড ছিল ১০টা, যেটা এখন ৫০ এ উন্নীত করেছি। তার বাইরেও আমরা প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অক্সিজেন ট্যাংক থেকে লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। যেটাতে অনেক কম খরচ হয়। আপৎকালীন সময়ে সাশ্রয় হয়।”
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার মানুষকে নগদ ৫০০ টাকা, খাবার এবং সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দেশের ক্রান্তিকালে ব্যবসায়ীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন আইজিপি।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন এই লকডাউনে যেন কোনো পরিবার কষ্টে না থাকে। এছাড়া আমরা আশা করব, যারা সচ্ছল আছেন, তারা নিজেদের সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমরা যদি সবাই মিলে হাত লাগাই, তাহলে আমরা এই মহামারী মোকাবিলা করতে পারব।
“এই দুর্যোগের দিনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তব্য, ধর্মীয় কর্তব্য। এই ধরনের কাজে যদি সহযোগিতা লাগে, তাহলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদের সাথে আছে। যদি আপনি সাহায্য করতে চান, কিন্তু আপনার সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, আমাদের বলবেন, আমরা পৌঁছে দেব আপনার পক্ষ থেকে। আসুন আমরা হাতে হাত ধরে কাজ করি এবং এই দুর্যোগ অতিক্রম করি।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, “সবাই কাজ করে খেতে চান, কেউ দয়া দাক্ষিণ্য নিয়ে বাঁচতে চান না। কিন্তু এই কাজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আমাদেরই তৈরি করতে হবে। নিজে নিরাপদ থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন- পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। দেশ ও জাতিকে মহাবিপদ থেকে রক্ষা করুন। তাহলেই ভালো থাকা সম্ভব।
“আমেরিকা এত উন্নত দেশ, যেখানে প্রত্যেকের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেই প্রায় সাড়ে ছয় লাখ লোক মারা গেছে। সুতরাং ভালো থাকা সম্পূর্ণ নিজের সচেতনতার উপর নির্ভর করে। পুলিশ দেখলে মাস্ক পরবেন, পুলিশ সামনে না থাকলে মাস্ক খুলে ফেলবেন, সেটি নিজের সাথেই প্রতারণা।”
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক কোটি লোকের জন্য সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছেন।
“মানুষকে সচেতন করার জন্য আমরাও আগামী সপ্তাহ থেকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি শুরু করব৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউর সমস্যা আছে, অক্সিজেনের সমস্যা আছে। এইগুলো দূর করতে এফবিসিসিআই চেষ্টা করে যাবে।” অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুই সপ্তাহ ঘরে থেকে ৫০ বছর ভালোভাবে বাঁচুন: আইজিপি

আপডেট সময় : ১২:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীতে দীর্ঘদিন সুস্থ দেহে বেঁচে থাকার জন্য হলেও লকডাউনের মধ্যে দুই সপ্তাহ সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, “করোনার সেকেন্ড ওয়েভের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে আমাদের প্রত্যেকের আচরণের ওপর৷ আমরা সবাই মিলেই রাষ্ট্র। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হবেন না। দুই সপ্তাহ বাসায় বসে থাকা খুব বেশি কিছু না, যদি এর জন্য আমরা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারি।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ শুরু হয়। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অফিস-আদালত বন্ধ রেখে যান্ত্রিক যানবাহনে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে রাস্তায় বের হতেও নিষেধ করা হয়েছে জনসাধারণকে। সেই নিষেধ না মানায় প্রতিদিনই গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হচ্ছে। বেনজীর বলেন, “গুলশান এলাকায় অনেক ট্রাফিক বেড়ে গেছে৷ প্রত্যেকেরই জরুরি কাজ। এই মহামারীতে যদি ১৮ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, প্রত্যেকের জন্য হাসপাতালের বেড দেওয়া সম্ভব না। “দয়া করে রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। জরুরি কাজ একটু কমান। এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করব কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।”
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, “ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। এই শহরে কয়েক কোটি লোকের বাস৷ এর বাইরেও ঢাকার বাইরের আশেপাশের এলাকা থেকে কাজের জন্য অনেকে ঢাকায় আসেন। এই শহরে বৈশ্বিক ধনী লোক থেকে শুরু করে বস্তিবাসীরা বাস করে। সবাই মিলেই আমরা করোনা অতিমারীর দুর্যোগ মোকাবিলা করছি।
“একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সে সময় খালি হাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছি আমরা। কারণ আমাদের জাতিগত ঐক্য ছিল। এই করোনা দুর্যোগও আমরা মোকাবিলা করতে পারব, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে। যে যেখানে আছি, সেখান থেকে কাজ করতে হবে।”
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অভিজ্ঞতা থেকে বেনজীর আহমেদ বলেন, চাইলেও হুট করে দেশে হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব না। সুতরাং অসুস্থ হতে যেন না হয়, সেজন্য মানুষকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
“আইসিউ বানালেই কিন্তু আইসিউ চালানো যায় না। আইসিইউর জন্য বিশেষায়িত ডাক্তার, নার্স দরকার। বিশেষায়িত মেডিকেল স্টাফ দরকার। আপনি চাইলে আইসিউ বেড কিনতে পারবেন। কিন্তু আপনি চাইলে সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বানাতে পারবেন না।
“সম্ভব হলে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ট্যাংক বসিয়ে লাইন করে দেওয়া উচিত। তাতে করে একটা ট্যাংক থেকে অনেক রোগী অক্সিজেন নিতে পারবে। আমরা আমাদের হসপিটালে সেটা করেছি। এক সময় আমাদের আইসিইউ বেড ছিল ১০টা, যেটা এখন ৫০ এ উন্নীত করেছি। তার বাইরেও আমরা প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অক্সিজেন ট্যাংক থেকে লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছি। যেটাতে অনেক কম খরচ হয়। আপৎকালীন সময়ে সাশ্রয় হয়।”
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার মানুষকে নগদ ৫০০ টাকা, খাবার এবং সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দেশের ক্রান্তিকালে ব্যবসায়ীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন আইজিপি।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন এই লকডাউনে যেন কোনো পরিবার কষ্টে না থাকে। এছাড়া আমরা আশা করব, যারা সচ্ছল আছেন, তারা নিজেদের সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমরা যদি সবাই মিলে হাত লাগাই, তাহলে আমরা এই মহামারী মোকাবিলা করতে পারব।
“এই দুর্যোগের দিনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তব্য, ধর্মীয় কর্তব্য। এই ধরনের কাজে যদি সহযোগিতা লাগে, তাহলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদের সাথে আছে। যদি আপনি সাহায্য করতে চান, কিন্তু আপনার সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, আমাদের বলবেন, আমরা পৌঁছে দেব আপনার পক্ষ থেকে। আসুন আমরা হাতে হাত ধরে কাজ করি এবং এই দুর্যোগ অতিক্রম করি।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, “সবাই কাজ করে খেতে চান, কেউ দয়া দাক্ষিণ্য নিয়ে বাঁচতে চান না। কিন্তু এই কাজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আমাদেরই তৈরি করতে হবে। নিজে নিরাপদ থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন- পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। দেশ ও জাতিকে মহাবিপদ থেকে রক্ষা করুন। তাহলেই ভালো থাকা সম্ভব।
“আমেরিকা এত উন্নত দেশ, যেখানে প্রত্যেকের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেই প্রায় সাড়ে ছয় লাখ লোক মারা গেছে। সুতরাং ভালো থাকা সম্পূর্ণ নিজের সচেতনতার উপর নির্ভর করে। পুলিশ দেখলে মাস্ক পরবেন, পুলিশ সামনে না থাকলে মাস্ক খুলে ফেলবেন, সেটি নিজের সাথেই প্রতারণা।”
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক কোটি লোকের জন্য সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছেন।
“মানুষকে সচেতন করার জন্য আমরাও আগামী সপ্তাহ থেকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি শুরু করব৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউর সমস্যা আছে, অক্সিজেনের সমস্যা আছে। এইগুলো দূর করতে এফবিসিসিআই চেষ্টা করে যাবে।” অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।