ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম দেখার তেতো অভিজ্ঞতা সঙ্গী করে ফিরতি লড়াইয়ে নেমে প্রথমার্ধে লাস পালমাসের জমাট রক্ষণে ভুগল বার্সেলোনা। বরং মাঝে মধ্যে ভীতি ছড়াল প্রতিপক্ষ। বিরতির পর অবশ্য তুলনামূলক ভালো খেলল হান্সি ফ্লিকের দল। বদলি নামা দুই খেলোয়াড়ের গোলে আবারও উঠল লিগ টেবিলের শীর্ষে। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে দানি ওলমো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান ফেররান তরেস। চলতি আসরে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা।
এবার প্রতিশোধ নিল কাতালান দলটি। এদিনই আগের ম্যাচে ভালেন্সিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। ২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন চূড়ায় আবার বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো। ২৪ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে শিরোপাধারী রেয়াল মাদ্রিদ। লা লিগায় টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল বার্সেলোনা। এই বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচের সবকটিতে অপরাজিত রইল তারা (১১ জয়, ২ ড্র)। দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় পালমাস। বক্সের বাইরে থেকে স্টেফান বাহেস্তিকের নিচু শট ঠেকান গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যান্সনি। চতুর্থ মিনিটে সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। তবে আলেহান্দ্রো বাল্দের ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রবের্ত লেভানদোভস্কি। দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক উড়িয়ে মারেন এই পোলিশ তারকা। চতুর্দশ মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সেলোনা। বক্সে ঢুকে কাছ থেকে সান্দ্রো রামিরেসের নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন স্ট্যান্সনি। ওই কর্নারে মিকা মার্মোলের শট ডিফেন্ডার জুল কুন্দের পায়ে লেগে বাইরে দিয়ে যায়।
২৫তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে বক্সে ঢুকে পালমাসের মিডফিল্ডার আলবের্তো মোলেইরোর নেওয়া শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৩২তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৬১তম মিনিটে ইয়ামালের ক্রসে রাফিনিয়ার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটেই চমৎকার গোলে ‘ডেডলক’ ভাঙেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা ওলমো। ইয়ামালের দারুণ পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ে শট নেন স্প্যানিশ উইঙ্গার, বল ক্রসবারের নিচের অংশে লেগে জালে জড়ায়। ৭১তম মিনিটে ইয়ামালের আরেকটি চমৎকার ক্রসে লেভানদোভস্কির হেড অনায়াসে ঠেকান গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। দুই মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়ে উড়িয়ে মারেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। ৮০তম মিনিটে বক্সে আলেক্স সুয়ারেসের শট বার্সেলোনার ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করেন পালমাসের খেলোয়াড়রা। ঘটনাটি নিয়ে বেশ উত্তেজনাও ছড়ায় মাঠে। সুয়ারেস ও বার্সেলোনার ফ্রেংকি ডি ইয়ং দেখেন হলুদ কার্ড। লম্বা সময় নিয়ে ভিএআরে মনিটরে দেখে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। বিল্ডআপের সময় পরিষ্কার অফসাইডে ছিলেন আলেক্স মুনস। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ইয়ামালের বদলি নামেন তরেস। আট মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করেন তিনি।
রাফিনিয়ার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন ২৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড, বল ক্রসবারের নিচে লেগে জালে জড়ায়। উল্লাসে মেতে ওঠে বার্সেলোনা । এই হারের পর ২৫ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে আছে পালমাস।