প্রত্যাশা ডেস্ক : পান্ডাটির নাম ফ্যান জিং। বয়স দুই বছর। এতদিন সবাই জানত পান্ডাটি পুরুষ। সম্প্রতি সেটির নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর ভুল ভেঙেছে। জানা গেছে, পান্ডাটি আসলে পুরুষ নয়, স্ত্রী।
পান্ডাটি রয়েছে নেদারল্যান্ডসের ওউয়েহ্যান্ডস চিড়িয়াখানায়। নেদারল্যান্ডসে জন্ম নেওয়া প্রথম পান্ডা সেটি। দুই বছর পর সেটির সঠিক লিঙ্গ জানার খবর একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেন চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপক জোসে কক। গত বৃহস্পতিবার ওই সাক্ষাৎকার দেন জোসে কক। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলাদা একটি বিবৃতি দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়, ‘ফ্যান জিং আমাদের হতবাক করে দিয়েছে। সেটিকে সংজ্ঞাহীন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এ সময় আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেটির লিঙ্গ পরীক্ষাও করি। তখন বিষয়টি ধরা পড়ে।’
পান্ডাটি স্ত্রী নাকি পুরুষ, তা জানতে আগেও অবশ্য একবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন সেটির বয়স ছিল মাত্র কয়েক মাস। তবে সে সময় চটজলদি কাজটি সারতে হয়েছিল। কারণ, পান্ডা শাবকটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার তাড়া ছিল। এ ছাড়া সংজ্ঞাহীন না করে পান্ডা শাবকদের লিঙ্গ নির্ধারণ করাটাও জটিল বলে জানান জোসে কক। তিনি বলেন, ‘পান্ডাটি পুরুষ—এই নিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস এতটাই ছিল যে তখন আমাদের কোনো সন্দেহ হয়নি।’
জন্মের পর গত অক্টোবরে ফ্যান জিংয়ের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়। নেদারল্যান্ডসের সাড়া জাগানো চিত্রশিল্পী ভিক্টর ভ্যান গঘ ও তাঁর একটি চিত্রকর্মের নাম অনুসারে ফ্যান জিংয়ের নাম রাখা হয়েছে। ভ্যান গঘকে চীনে ‘ফ্যান’ বলা হয়। আর জিং অর্থ তারকা। ‘স্টারি নাইট’ বা ‘তারকাময় রাত’ নামে ভ্যান গঘের একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম রয়েছে। সেখান থেকে পান্ডাটির নামের শেষ অংশে জিং রাখা হয়েছে। এদিকে খুব শিগগির ফ্যান জিংকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চীনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেটির বাবা জিং ইয়া নামের একটি পান্ডা। মা পান্ডাটির নাম উ ওয়েন। ২০১৭ সালে পান্ডা দুটিকে চীন থেকে ১৫ বছরের জন্য নেদারল্যান্ডসে আনা হয়েছিল।
দুই বছর পর জানা গেল সেটি স্ত্রী পান্ডা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ