বিনোদন ডেস্ক: ‘দক্ষিণ এশীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (আইএফএফএসএ)’কে ধরা হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সিনেমা আসর হিসেবে। সেখানে এবার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে ফুয়াদ চৌধুরী নির্মিত বাংলাদেশের সিনেমা ‘মেঘনা কন্যা’র। কানাডার টরন্টোর এটি স্থানীয় মাল্টিপ্লেক্সে গেল ১৫ অক্টোবর সিনেমাটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সিনেমাটিকে উন্মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হলো। নারীপাচারকে কেন্দ্র করে গ্রামে ও শহরের দুই নারীর শেকল ভাঙার গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরীর মতে, নারী পাচারের মতো একটি কঠিন বিষয়ের সঙ্গে গ্রামীণ পটভূমিতে বলা সিনেমাটির গল্পে রয়েছে দর্শকের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদন। পর্দায় নানা রকমের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হওয়া ভিন্ন দুটি অবস্থানের নারীর মাধ্যমে বলা হয়েছে স্বপ্ন পূরণের গল্প। আনোয়ার আজাদ ফিল্ম‘স ও এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির সহযোগিতায় আছে সুইজারল্যান্ড এবং টেলিভিশন পার্টনার দীপ্ত টিভি। সিনেমাটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি, সাজ্জাদ হোসেইনসহ অনেকে। এর সংগীতায়োজনে রয়েছেন চিরকুটখ্যাত সুমী। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান এবং আহমেদ খান হীরক।
নায়িকাদের সংসার না টেকার কারণ জানালেন ফারিয়া শাহরিন বিনোদন ডেস্ক: আলোচিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে অন্তরা চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ফারিয়া শাহরিন। অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মতামত তুলে ধরেন সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে। এবার তিনি বললেন, নায়িকাদের সংসার কেন টেকে না, সে বিষয়ে। দুই বছর আগে ঢাকার একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাহফুজ রায়ানের সঙ্গে বাগদান হয় ফারিয়া শাহরিনের। চলতি বছরের জুলাইয়ে ফারিয়া জানান তার বিয়ের খবর। ৭ জুলাই সকালে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভক্তদের সঙ্গে বিয়ের খবরটি ভাগাভাগি করেন তিনি। নিজের একটি ছবি দিয়ে ফারিয়া লেখেন, ‘আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। ’ তবে কবে বিয়ে হয়েছে, সেটা জানাননি ফারিয়া। তার পোস্টে একজনের মন্তব্যের মাধ্যমে জানা যায়, ঘরোয়া আয়োজনে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়েছে। ফেসবুকে নায়িকার বিয়ে না টেকার কারণ প্রসঙ্গে ফারিয়া লেখেন, আজকে সারা দিন ভাবলাম, নায়িকাদের কেন সংসার টেকে না। আমি আমার মতামত দিচ্ছি, কারও দুঃখ লাগলে মাফ করে দেবেন। ফারিয়া লেখেন, নায়িকারা হলেন স্বপ্নের মানুষ। স্বপ্নে তার সঙ্গে হাত ধরে ঘোরা যায়, সংসার করা যায়, আকাশ ছোঁয়া যায়। লুতুপুতু প্রেম করা যায়, রোমান্স করা যায়। আরও অনেক কিছুই করা যায়। কিন্তু ওই নায়িকা যখন দেখবেন, বাসায় রান্না করতেছে, মেকআপ ছাড়া বুয়ার মতো মাথায় তেল দিয়ে ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে- ওই নায়িকা তখন আর স্বপ্নের নায়িকা থাকে না। বাস্তবের জরিনা হয়ে যায়। মেকআপসহ টিভিতে, টিকটকে, সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা কোনো নায়িকা এত লুতুপুতু সুন্দরী না। খুব কম নায়িকাই আছে যে ন্যাচারালি সুন্দর। আর সুন্দর হলেই বা কি...। ফারিয়া আরও লেখেন, নায়িকারা মোবাইল আর টিভি জগতে থাকলেই সুন্দর। বাস্তবে শাকচুন্নি হওয়া থেকে স্বপ্নের অপ্সরী হয়েই বেঁচে থাকলে বরং ভালো। ২০০৭ সালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হন ফারিয়া শাহরিন। এরপর নাটক আর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন। একটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ‘কথা দিলাম’ প্যাকেজের বিজ্ঞাপনচিত্র তার পরিচিতি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।
দুই নারীর শেকল ভাঙার ‘মেঘনা কন্যা’র প্রিমিয়ার টরন্টোতে
জনপ্রিয় সংবাদ


























