ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

দুই ঘণ্টা পা উঁচু করে রেখে বিশ্বরেকর্ড

  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : টানা পা উঁচু করে রেখে বিশ্বরেকর্ড, নতুন কিছু না হলেও স্পর্শের জন্য এই রেকর্ড অন্যরকম এক ইতিহাস। ১৯ বছর বয়সী স্পর্শ শাহ। তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিও কম। তবে শারীরিক অক্ষমতাকে উপেক্ষা করা বিশ্বরেকর্ড ঝুলিতে ভরে নিয়েছেন স্পর্শ। এ বছরের ২১ জুলাই, স্পর্শ এই রেকর্ডটি করেন। তবে গিনেস ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে কিছুদিন। স্পর্শের জন্য এই কাজ সহজ ছিল না একেবারেই। কারণ তিনি পায়ে খুব একটা শক্তি পান না। তিনি বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছেন যে, কিছু করার ইচ্ছা থাকলে কিংবা মনোযোগ দিয়ে করলে যে কোনো কাজেই সফল হওয়া যায়।
রেকর্ডটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিবন্ধকতার বিভাগের অংশ। শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলাধুলা, শক্তি এবং ভ্রমণের রেকর্ডের জন্য ২৩টি নতুন বিভাগ চালু করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। রেকর্ডটি করতে স্পর্শ পিঠের উপর ভর করে শুয়ে একসঙ্গে দুই পা উঁচু করে রাখেন। মাটি থেকে অন্তত ছয় ইঞ্চি উঁচুতে ছিল তার পা দুটি। এটি তার জন্য একেবারেই সহজ কাজ ছিল না। কারণ স্পর্শ অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টা বা ভঙ্গুর হাড়ের রোগে আক্রান্ত। এটি দুরারোগ্য জিনগত রোগ। যা তার হাড়গুলোকে অত্যন্ত ভঙ্গুর করে তোলে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্পর্শ নিয়মিত ব্যায়াম করতে শুরু করেন। তার পায়ের হাড়ে ধীরে ধীরে ফ্র্যাকচার বেড়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে ১৪০ টিরও বেশি ফ্র্যাকচার এবং একাধিক রড সার্জারি হয়েছে তার। পুরো শরীরে ২২টি স্ক্রু এবং আটটি রড লাগানো হয়েছে। এজন্য চিকিৎসক তাকে পা উঁচু করে রাখার ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। এই ব্যায়াম করতে প্রথমে খুব কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে সময় বাড়তে থাকে। এটি তার রেকর্ড গড়ায় সাহায্য করেছে। শুরুতে এক ঘণ্টা পা উঁচু করে রাখার পরিকল্পনা ছিল স্পর্শর। তবে এক ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও তিনি খুব স্বাভাবিকভাবেই পা উঁচুতে ধরে রাখতে পারছিলেন। এরপর সেই সময় গড়ালো ২ ঘণ্টায়। সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আসছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

দুই ঘণ্টা পা উঁচু করে রেখে বিশ্বরেকর্ড

আপডেট সময় : ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : টানা পা উঁচু করে রেখে বিশ্বরেকর্ড, নতুন কিছু না হলেও স্পর্শের জন্য এই রেকর্ড অন্যরকম এক ইতিহাস। ১৯ বছর বয়সী স্পর্শ শাহ। তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিও কম। তবে শারীরিক অক্ষমতাকে উপেক্ষা করা বিশ্বরেকর্ড ঝুলিতে ভরে নিয়েছেন স্পর্শ। এ বছরের ২১ জুলাই, স্পর্শ এই রেকর্ডটি করেন। তবে গিনেস ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে কিছুদিন। স্পর্শের জন্য এই কাজ সহজ ছিল না একেবারেই। কারণ তিনি পায়ে খুব একটা শক্তি পান না। তিনি বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছেন যে, কিছু করার ইচ্ছা থাকলে কিংবা মনোযোগ দিয়ে করলে যে কোনো কাজেই সফল হওয়া যায়।
রেকর্ডটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিবন্ধকতার বিভাগের অংশ। শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলাধুলা, শক্তি এবং ভ্রমণের রেকর্ডের জন্য ২৩টি নতুন বিভাগ চালু করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। রেকর্ডটি করতে স্পর্শ পিঠের উপর ভর করে শুয়ে একসঙ্গে দুই পা উঁচু করে রাখেন। মাটি থেকে অন্তত ছয় ইঞ্চি উঁচুতে ছিল তার পা দুটি। এটি তার জন্য একেবারেই সহজ কাজ ছিল না। কারণ স্পর্শ অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টা বা ভঙ্গুর হাড়ের রোগে আক্রান্ত। এটি দুরারোগ্য জিনগত রোগ। যা তার হাড়গুলোকে অত্যন্ত ভঙ্গুর করে তোলে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্পর্শ নিয়মিত ব্যায়াম করতে শুরু করেন। তার পায়ের হাড়ে ধীরে ধীরে ফ্র্যাকচার বেড়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে ১৪০ টিরও বেশি ফ্র্যাকচার এবং একাধিক রড সার্জারি হয়েছে তার। পুরো শরীরে ২২টি স্ক্রু এবং আটটি রড লাগানো হয়েছে। এজন্য চিকিৎসক তাকে পা উঁচু করে রাখার ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। এই ব্যায়াম করতে প্রথমে খুব কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে সময় বাড়তে থাকে। এটি তার রেকর্ড গড়ায় সাহায্য করেছে। শুরুতে এক ঘণ্টা পা উঁচু করে রাখার পরিকল্পনা ছিল স্পর্শর। তবে এক ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও তিনি খুব স্বাভাবিকভাবেই পা উঁচুতে ধরে রাখতে পারছিলেন। এরপর সেই সময় গড়ালো ২ ঘণ্টায়। সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড