ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

দুই গার্মেন্টসকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৪

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গার্মেন্টসকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের বাকী বিল্লাহর ছেলে আল আমিন (২৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুরের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রশীদ (৩৫), লক্ষীকোলা গ্রামের নায়েব আলী সরদারের ছেলে মহিদুল সরদার (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুরের চাঁন মিঞার ছেলে জাবেদ (৩৫)। জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় দুই তরুণীর। এদের একজন আল আমিন নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল আমিন তাকে পাবনার ঈশ্বরদীতে দেখা করার জন্য আসতে বলেন। দুই তরুণী শনিবার বিকেলে আশুলিয়া থেকে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় পৌঁছায়। আল আমিন কৌশলে বন্ধুদের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার পর দুজনকে আখক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। দুজন ছাড়া পাওয়ার পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রাস্তায় উঠে আসে। এ সময় রাস্তায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক তাদের উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই তরুণীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ভিকটিমদের বক্তব্য শুনে রাতেই কুষ্টিয়া ও বড়াইগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাকিদের গ্রেপ্তাররের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুই গার্মেন্টসকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৪

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গার্মেন্টসকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের বাকী বিল্লাহর ছেলে আল আমিন (২৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুরের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রশীদ (৩৫), লক্ষীকোলা গ্রামের নায়েব আলী সরদারের ছেলে মহিদুল সরদার (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুরের চাঁন মিঞার ছেলে জাবেদ (৩৫)। জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় দুই তরুণীর। এদের একজন আল আমিন নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল আমিন তাকে পাবনার ঈশ্বরদীতে দেখা করার জন্য আসতে বলেন। দুই তরুণী শনিবার বিকেলে আশুলিয়া থেকে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় পৌঁছায়। আল আমিন কৌশলে বন্ধুদের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার পর দুজনকে আখক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। দুজন ছাড়া পাওয়ার পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রাস্তায় উঠে আসে। এ সময় রাস্তায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক তাদের উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই তরুণীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ভিকটিমদের বক্তব্য শুনে রাতেই কুষ্টিয়া ও বড়াইগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাকিদের গ্রেপ্তাররের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।