ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দুইদিনব্যাপী এআই সম্মেলন শুরু হচ্ছে প্যারিসে

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ঝুঁকি নিরসন ও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা এই প্রযুক্তি ঘিরে নিরাপদ বলয় তৈরি করতে প্যারিসে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল এআই সামিট।

বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলছে, উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন কঠোর লাল ফিতার দৌরাত্মের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিরোধের সময়ে কীভাবে নিরাপদ উপায়ে এআইকে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এআই সম্মেলনে বৈঠক করেছেন বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তি নির্বাহীরা।

২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে ব্রিটেন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত আগের বিভিন্ন এআই সম্মেলনের পর থেকে এআইয়ের লাগাম টেনে ধরার আগ্রহ কমে গেছে। তাই এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির নজর এআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ওপর থাকছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এআইয়ের প্রতিযোগিতা প্রসারের জন্য তার পূর্বসূরী জো বাইডেনের বিভিন্ন এআই রক্ষাকবচ ছেঁটে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, এ প্রযুক্তির দৌড়ে টিকে থাকতে এআইয়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নরম করতে ইইউ’র নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ তৈরি করছে বিভিন্ন ইউরোপীয় কোম্পানি।

এ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি’সহ কিছু ইইউ নেতা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি আশা করছেন, ইইউ’র দেশভুক্ত বিভিন্ন স্টার্টআপকে সহায়তা করার জন্য নিজেদের নতুন এআই আইনে খানিকটা নমনীয়তা আনবে কমিশন।

শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, কোনও নিয়ম না রাখার বিষয়টি যেমন বিপজ্জনক ঠিক তেমনি ইউরোপ যদি নিজেদের অনেক বেশি নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখে এরও বিপরীত ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেছেন, উদ্ভাবনকে ভয় পেলে চলবে না।

রয়টার্স লিখেছে, এআইয়ের ওপর ট্রাম্পের প্রাথমিক বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকেই বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইইউতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো কতটা ভিন্ন।

গত বছর এআই আইন তৈরি করেছেন ইউরোপীয় আইন প্রণেতারা, যা প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বে করা প্রথম নিয়ম। তবে এ নিয়মকে শিথিলের জন্য কমিশনের ওপর চাপ দিচ্ছে কিছু টেক জায়ান্ট।

এদিকে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ এআই নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে চীনের তৈরি এআই ডিপসিক, যা ভূ-রাজনৈতিক ও এ শিল্পের বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আরও দ্রুত এআই দৌড়ে টিকে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

তবে এ এআই সম্মেলনে প্যারিসে ‘মার্কিন এআই সেফটি ইনস্টিটিউট’ পাঠাচ্ছেন না ট্রাম্প, যা এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।

সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝাং গুওকিং’সহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসেরও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার গুওকিং ও মঙ্গলবার ভ্যানসের সঙ্গে ম্যাক্রোঁর বৈঠক হওয়ার কথা। পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন হবে ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার।

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাই ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের মতো শীর্ষ নির্বাহীরাও এ সম্মেলনে কথা বলবেন। সোমবার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন প্রযুক্তি নির্বাহীরা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

দুইদিনব্যাপী এআই সম্মেলন শুরু হচ্ছে প্যারিসে

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ঝুঁকি নিরসন ও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা এই প্রযুক্তি ঘিরে নিরাপদ বলয় তৈরি করতে প্যারিসে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল এআই সামিট।

বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলছে, উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন কঠোর লাল ফিতার দৌরাত্মের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিরোধের সময়ে কীভাবে নিরাপদ উপায়ে এআইকে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এআই সম্মেলনে বৈঠক করেছেন বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তি নির্বাহীরা।

২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে ব্রিটেন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত আগের বিভিন্ন এআই সম্মেলনের পর থেকে এআইয়ের লাগাম টেনে ধরার আগ্রহ কমে গেছে। তাই এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির নজর এআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ওপর থাকছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এআইয়ের প্রতিযোগিতা প্রসারের জন্য তার পূর্বসূরী জো বাইডেনের বিভিন্ন এআই রক্ষাকবচ ছেঁটে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, এ প্রযুক্তির দৌড়ে টিকে থাকতে এআইয়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নরম করতে ইইউ’র নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ তৈরি করছে বিভিন্ন ইউরোপীয় কোম্পানি।

এ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি’সহ কিছু ইইউ নেতা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি আশা করছেন, ইইউ’র দেশভুক্ত বিভিন্ন স্টার্টআপকে সহায়তা করার জন্য নিজেদের নতুন এআই আইনে খানিকটা নমনীয়তা আনবে কমিশন।

শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, কোনও নিয়ম না রাখার বিষয়টি যেমন বিপজ্জনক ঠিক তেমনি ইউরোপ যদি নিজেদের অনেক বেশি নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখে এরও বিপরীত ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেছেন, উদ্ভাবনকে ভয় পেলে চলবে না।

রয়টার্স লিখেছে, এআইয়ের ওপর ট্রাম্পের প্রাথমিক বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকেই বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইইউতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো কতটা ভিন্ন।

গত বছর এআই আইন তৈরি করেছেন ইউরোপীয় আইন প্রণেতারা, যা প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বে করা প্রথম নিয়ম। তবে এ নিয়মকে শিথিলের জন্য কমিশনের ওপর চাপ দিচ্ছে কিছু টেক জায়ান্ট।

এদিকে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ এআই নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে চীনের তৈরি এআই ডিপসিক, যা ভূ-রাজনৈতিক ও এ শিল্পের বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আরও দ্রুত এআই দৌড়ে টিকে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

তবে এ এআই সম্মেলনে প্যারিসে ‘মার্কিন এআই সেফটি ইনস্টিটিউট’ পাঠাচ্ছেন না ট্রাম্প, যা এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।

সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝাং গুওকিং’সহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসেরও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার গুওকিং ও মঙ্গলবার ভ্যানসের সঙ্গে ম্যাক্রোঁর বৈঠক হওয়ার কথা। পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন হবে ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার।

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাই ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানের মতো শীর্ষ নির্বাহীরাও এ সম্মেলনে কথা বলবেন। সোমবার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন প্রযুক্তি নির্বাহীরা।