ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে, অত সহজ না : শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাড়িতে আগুন দিয়ে সরকার ফেলা যায় না। বিএনপির আন্দোলনে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার বিকালে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, “মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস কোথা থেকে পায়? “অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে এটা তাদের মনে রাখা উচিত। “তারা মনে করেছে দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ না। অত ভাত দুধ দিয়ে খায় না।” প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা সাধারণত সিলেট থেকেই প্রচার শুরু করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সাড়ে ১১টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। ছোট বোন শেখ রেহানাও এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে দুই বোন প্রথমে যান হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে। পরে তারা যান হযরত শাহপরাণ (র.) এর মাজারে। সেখান থেকে বের হয়ে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো দল চাইলে নির্বাচনে না আসতে পারে; কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।”
জনসভায় বিরাট জমায়েত: সেখান থেকে সার্কিট হাউজে গিয়ে দুপুরের খাবার খান শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টায় তিনি যোগ দেন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায়। সকাল থেকেই এই মাঠে জড়ো হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। হাতে লাল-সবুজ পতাকার সঙ্গে রঙিন পোশাক উৎসবের আমেজ তৈরি করে গোটা এলাকায়। সভা মঞ্চে এসে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পতাকা নেড়ে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। এরপর আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়ে তাদেরকেকে স্বাগত জানায় সিলেট বেতারের দুটি দল। এই জনসভায় সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ১৯টি সংসদীয় আসন থেকেই আসেন নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী সবগুলো আসনে দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। বিশাল এই জনসভায় নেতাকর্মীরা আসেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক ‘নৌকা’র প্রতিকৃতি নিয়ে। পুরো জমায়েতে ক্ষণে ক্ষণে ‘নৌকা, নৌকা’ স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন তারা। নৌকায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, “এই নৌকা নুহ নবীর নৌকা, এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, আবার এই নৌকা যখন সরকারে এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। “আওয়ামী লীগ সরকারের আছে জনগণের উন্নতি হচ্ছে। আজকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি।”
২০০১ সালে যে নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে, সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া; ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বেচবে। সেই কারণে বাহবা দিয়ে তাকে ক্ষমতায় বসাল। রেজাল্ট কী? জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দুঃশাসন।
“আমি বলেছিলোম খালেদা জিয়া গ্যাস দিতে পারবে না, গ্যাস পাবেই না। আসলে পায়নি, দিতে পারেনি। এটা হলো বাস্তবতা। যে কূপ খনন করে খালেদা জিয়ার আমলে গ্যাস পায়নি, সেই কূপ খনন করে আওয়ামী লীগের আমলে আমরা শুধু গ্যাস না, তেলও পেয়েছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আল্লাহ যখন কাউকে কিছু দেয়, জন বুঝেই ধন দেয়। আল্লাহ জানে ওদের কাছে দিলে সব নয়ছয় করবে। আর আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে।” এরপর জনতার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “বলেন, আমি ঠিক বলছি?” সবাই তখন সমস্বরে চিৎকার করে সমর্থন জানান।
অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে: বিএনপির আন্দোলনেরও কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, “আজকে সমস্ত জায়গায় বোমাবাজি, খুন আর অগ্নিসন্ত্রাস এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারা। এর বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। “আমরা যেমন উন্নয়নের কাজ করেছি, ওদের কাজ হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এইভাবে আগুন দিয়েৃ মা শিশু, মা সন্তানকে বাঁচানোর জন্য শিশুকে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছে। সেই মা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে বাচ্চাসহ।”
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক ও নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনার নির্বাচনি সমাবেশ এরপর কোথায়: সিলেটের পর শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলায় যাবেন। কিছু এলাকায় তিনি বক্তব্য দেবেন ভার্চুয়ালি। আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন ভার্চুয়ালি। ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। সেদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে হবে তার নির্বাচনি জনসভা। ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ ও মাদারীপুর-৩ আসনে জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে, অত সহজ না : শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাড়িতে আগুন দিয়ে সরকার ফেলা যায় না। বিএনপির আন্দোলনে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার বিকালে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, “মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করবে, এত সাহস কোথা থেকে পায়? “অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বসে একটা কুলাঙ্গার হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে এটা তাদের মনে রাখা উচিত। “তারা মনে করেছে দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। অত সহজ না। অত ভাত দুধ দিয়ে খায় না।” প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা সাধারণত সিলেট থেকেই প্রচার শুরু করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সাড়ে ১১টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। ছোট বোন শেখ রেহানাও এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে দুই বোন প্রথমে যান হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে। পরে তারা যান হযরত শাহপরাণ (র.) এর মাজারে। সেখান থেকে বের হয়ে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো দল চাইলে নির্বাচনে না আসতে পারে; কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।”
জনসভায় বিরাট জমায়েত: সেখান থেকে সার্কিট হাউজে গিয়ে দুপুরের খাবার খান শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টায় তিনি যোগ দেন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায়। সকাল থেকেই এই মাঠে জড়ো হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। হাতে লাল-সবুজ পতাকার সঙ্গে রঙিন পোশাক উৎসবের আমেজ তৈরি করে গোটা এলাকায়। সভা মঞ্চে এসে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পতাকা নেড়ে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। এরপর আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়ে তাদেরকেকে স্বাগত জানায় সিলেট বেতারের দুটি দল। এই জনসভায় সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ১৯টি সংসদীয় আসন থেকেই আসেন নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী সবগুলো আসনে দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। বিশাল এই জনসভায় নেতাকর্মীরা আসেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক ‘নৌকা’র প্রতিকৃতি নিয়ে। পুরো জমায়েতে ক্ষণে ক্ষণে ‘নৌকা, নৌকা’ স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন তারা। নৌকায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, “এই নৌকা নুহ নবীর নৌকা, এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, আবার এই নৌকা যখন সরকারে এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। “আওয়ামী লীগ সরকারের আছে জনগণের উন্নতি হচ্ছে। আজকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি।”
২০০১ সালে যে নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে, সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া; ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বেচবে। সেই কারণে বাহবা দিয়ে তাকে ক্ষমতায় বসাল। রেজাল্ট কী? জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দুঃশাসন।
“আমি বলেছিলোম খালেদা জিয়া গ্যাস দিতে পারবে না, গ্যাস পাবেই না। আসলে পায়নি, দিতে পারেনি। এটা হলো বাস্তবতা। যে কূপ খনন করে খালেদা জিয়ার আমলে গ্যাস পায়নি, সেই কূপ খনন করে আওয়ামী লীগের আমলে আমরা শুধু গ্যাস না, তেলও পেয়েছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আল্লাহ যখন কাউকে কিছু দেয়, জন বুঝেই ধন দেয়। আল্লাহ জানে ওদের কাছে দিলে সব নয়ছয় করবে। আর আওয়ামী লীগের হাতে পড়লে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে।” এরপর জনতার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “বলেন, আমি ঠিক বলছি?” সবাই তখন সমস্বরে চিৎকার করে সমর্থন জানান।
অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে: বিএনপির আন্দোলনেরও কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, “আজকে সমস্ত জায়গায় বোমাবাজি, খুন আর অগ্নিসন্ত্রাস এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারা। এর বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। “আমরা যেমন উন্নয়নের কাজ করেছি, ওদের কাজ হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এইভাবে আগুন দিয়েৃ মা শিশু, মা সন্তানকে বাঁচানোর জন্য শিশুকে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছে। সেই মা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে বাচ্চাসহ।”
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক ও নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনার নির্বাচনি সমাবেশ এরপর কোথায়: সিলেটের পর শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলায় যাবেন। কিছু এলাকায় তিনি বক্তব্য দেবেন ভার্চুয়ালি। আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন ভার্চুয়ালি। ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। সেদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে হবে তার নির্বাচনি জনসভা। ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ ও মাদারীপুর-৩ আসনে জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।