ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল গান্ধী আটক

  • আপডেট সময় : ০১:১৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাস্তায় অবস্থান নেওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় এই এমপিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আরও কয়েক কংগ্রেস এমপিকে আটক করা হয়। খবর এনডিটিভির।
জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, বিরোধীদের দমনপীড়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন রাহুল গান্ধী। একপর্যায়ে পার্লামেন্ট ও শীর্ষ সরকারি কার্যালয়গুলোর কাছে উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা রাজপথে অবস্থান নেন তিনি। এ সময় পুলিশের সদস্যরা তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট এভাবে চলার পর রাহুলকে আটক করা হয়। এরপর তাঁকে একটি বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বাসে আগে আটক আরও কয়েক পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন।
আটক হওয়ার আগে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারত হলো পুলিশের রাষ্ট্র, মোদি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) একজন রাজা।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহুল গান্ধী ছিলেন বিক্ষোভস্থলে অবস্থানকারী সর্বশেষ ব্যক্তি। তাঁকে আটক করা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল পুলিশ। রাহুল গান্ধী এমন সময় আটক হলেন, যখন দিল্লিরই অপর একটি এলাকায় তাঁর মা কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেনট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ওই তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে গিয়েছেন। পার্লামেন্ট এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আগে রাহুল গান্ধীও সেখানে গিয়েছিলেন। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সদস্যদের ‘কণ্ঠরোধের’ প্রতিবাদের বিক্ষোভ করছেন কংগ্রেস এমপিরা। পুরো বর্ষা মৌসুমের জন্য দলের চার এমপিকে সাময়িক বরখাস্ত করার এক দিন পর বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস এমপিদের। তবে বিজয় চক ক্রসিংয়ে তাঁদের পথ আটকে দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, ‘পুলিশের নির্দেশনা মেনে আমরা বিক্ষোভ করছিলাম। সবকিছু প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ষড়যন্ত্র। তাঁরা বিরোধীদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে এবং আমাদের কণ্ঠ রোধ করে দিতে চান। আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। আমাদের লড়াই চলবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল গান্ধী আটক

আপডেট সময় : ০১:১৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাস্তায় অবস্থান নেওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় এই এমপিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আরও কয়েক কংগ্রেস এমপিকে আটক করা হয়। খবর এনডিটিভির।
জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, বিরোধীদের দমনপীড়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন রাহুল গান্ধী। একপর্যায়ে পার্লামেন্ট ও শীর্ষ সরকারি কার্যালয়গুলোর কাছে উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা রাজপথে অবস্থান নেন তিনি। এ সময় পুলিশের সদস্যরা তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট এভাবে চলার পর রাহুলকে আটক করা হয়। এরপর তাঁকে একটি বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বাসে আগে আটক আরও কয়েক পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন।
আটক হওয়ার আগে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারত হলো পুলিশের রাষ্ট্র, মোদি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) একজন রাজা।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহুল গান্ধী ছিলেন বিক্ষোভস্থলে অবস্থানকারী সর্বশেষ ব্যক্তি। তাঁকে আটক করা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল পুলিশ। রাহুল গান্ধী এমন সময় আটক হলেন, যখন দিল্লিরই অপর একটি এলাকায় তাঁর মা কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেনট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ওই তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে গিয়েছেন। পার্লামেন্ট এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আগে রাহুল গান্ধীও সেখানে গিয়েছিলেন। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সদস্যদের ‘কণ্ঠরোধের’ প্রতিবাদের বিক্ষোভ করছেন কংগ্রেস এমপিরা। পুরো বর্ষা মৌসুমের জন্য দলের চার এমপিকে সাময়িক বরখাস্ত করার এক দিন পর বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস এমপিদের। তবে বিজয় চক ক্রসিংয়ে তাঁদের পথ আটকে দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, ‘পুলিশের নির্দেশনা মেনে আমরা বিক্ষোভ করছিলাম। সবকিছু প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ষড়যন্ত্র। তাঁরা বিরোধীদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে এবং আমাদের কণ্ঠ রোধ করে দিতে চান। আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। আমাদের লড়াই চলবে।’