চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজান থানায় দায়ের হওয়া একটি চুরি মামলার জট খুলেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, জেলার মিরসরাই ও হাটহাজারী থানায় অভিযান এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুটি মোটরসাইকেল, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, দুটি ডিজিটাল ক্যামেরা, একটি সিন্ধুক এবং তালা ভাঙার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, হেলাল উদ্দিন (৪৩), মো. সালাহউদ্দিন (৩৪), মো. সোহাগ (৩৮), মো. আবুল কাশেম ওরফে বাচা (৩২)।
পিবিআই সূত্র জানায়, গত ৮ জুন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যে কোনো সময় রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াসিন-নগর এলাকায় কাতারপ্রবাসী আবদুল কাদেরের বসতবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওইসময় বাড়ির সবাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। অজ্ঞাতনামা চোরের দল বাড়িটির লোহার গেট ভেঙে ৫৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ ও চারটি মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ১১ জুন রাউজান থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে থানা পুলিশ মামলার কোনো কুল-কিনারা করতে না পারায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের আবেদন করেন। এরপর আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্ত ভার পায় পিবিআই।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, গত ২০ জুলাই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে পিবিআই। মাত্র ১০ দিনের মাথায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং গুপ্তচর নিয়োগ করে চারজনকে গ্রেপ্তার করা করা হয়। একই সঙ্গে চুরি যাওয়া বেশ কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তাদের একটি সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। দলের কয়েকজন সদস্য দিনে একটি বাড়ি রেকি করে আসে। পরে রাতে অটোরিকশাযোগে ওই বাড়িতে চুরি করে। একই কায়দায় তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় চুরি করেছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার চারজনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার এবং বাকি চোরাই মালামাল জব্দের চেষ্টা চলছে।