স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর। খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। ভিটামিন ও খনিজের উৎস এ ফলটি প্রতিদিন খেয়ে কমাতে পারেন কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রতিরোধ করতে পারেন নানারকম অসুখ-বিসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়।
এতে রয়েছে প্রোটিন, ডায়েট্রি ফাইবার, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর খেয়ে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা কাটানো সম্ভব।
এড়ানো সম্ভব প্রসবকালীন ঝুঁকির মাত্রা।
দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত।
কম ক্যালরিযুক্ত এ ফলটি বিকেলের স্ন্যাকসে ওট ও দুধের সঙ্গে যোগ করতে পারেন। লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক। শরীর ঝরঝরে রাখতে সারারাত দুধে বিচি ছাড়ানো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে দুধ সমেত খেজুর মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার সময় মধু ও এলাচগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি খাবার খেজুর।
এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যা আছে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাবেন।