ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

দিনের উইকেট রাতে বদলে গিয়েছিল, জানালেন রিয়াদ

  • আপডেট সময় : ১১:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : আগের ম্যাচে যে দল ৬০ রানে অলআউট হয়েছে, সেই দল একদিন বিরতিতে ১৪২ রান করে ফেলেছিল প্রায়! কী করে সম্ভব? নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অতি দ্রুত শেরে বাংলার উইকেটের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে? নাকি বাংলাদেশের বোলিংটা প্রথম ম্যাচের মতো হয়নি? নাকি শুক্রবার যে পিচে খেলা হয়েছে, সেটা প্রথম দিনের তুলনায় অনেকটাই ভালো, ব্যাটিং উপযোগী? খেলা শেষে টাইগার ভক্ত ও সমর্থকদের প্রায় সবার মনেই এসব প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। সে সব কৌতুহলী প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। খেলা শেষে রিয়াদ জানিয়েছেন, রাতে উইকেট তুলনামূলকভাবে ভালো আচরণ করেছে। তাহলে দিনের বেলা উইকেট কেমন ছিল? খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে এ প্রশ্ন। সে ব্যাখ্যাও আছে। টাইগার অধিনায়ক জানান, ‘আজকের উইকেট আগের ম্যাচের তুলনায় ভালো ছিল। দিনের বেলায় আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন বল স্পিন করছিল। উঁচু-নিচু হচ্ছিল। রাতে উইকেট আস্তে আস্তে ভালো হতে থাকে।’ রিয়াদ মনে করেন, উইকেটের আচরণের ব্যাপারটি দেখলে বাংলাদেশের বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে ১৪১ রানকে ডিফেন্ড করে ম্যাচ জেতানোর জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
শুধু বোলারদের নয়, ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু এনে দেয়া দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখেরও প্রশংসা করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার অনুভব, নতুন বলে এই উইকেটে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন। কেন কঠিন? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘যখন বলের সিম শক্ত থাকে তখন বেশ বাউন্স করে, কয়েকটা বল স্কিড করে। কিছু আবার জোরে বাঁক খায়। সেদিক থেকে নাইম ও লিটন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের যেমন শুরু দরকার ছিল পাওয়ার প্লেতে, একদম আদর্শ শুরু এনে দিয়েছে তারা। মাঝেও আমাদের বেশ কিছু ভালো জুটি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪০ রান (প্রকৃতপক্ষে ১৪১) করতে পেরেছি, এই উইকেটে এটা ভালো স্কোর ছিল।’ শেষ ওভারের নাটকীয়তা এবং এক পর্যায়ে মোস্তাফিজের এক ‘নো’ বলে চার হজম করায় ম্যাচে চরম নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছিল। সেটাকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাওয়া হলে রিয়াদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। সেটা বোলিংয়ে হোক কিংবা ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিংয়ে থাকলেও অনেক সময় ১২ বলে ২০ রান, ২৪ রান করতে হতে পারে। বোলারদেরও এমন রান বাঁচিয়ে ম্যাচ বের করতে হতে পারে। যেটা আজ মোস্তাফিজ খুব ভালোভাবে করেছে। এ জন্য আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দিনের উইকেট রাতে বদলে গিয়েছিল, জানালেন রিয়াদ

আপডেট সময় : ১১:৫২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : আগের ম্যাচে যে দল ৬০ রানে অলআউট হয়েছে, সেই দল একদিন বিরতিতে ১৪২ রান করে ফেলেছিল প্রায়! কী করে সম্ভব? নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অতি দ্রুত শেরে বাংলার উইকেটের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে? নাকি বাংলাদেশের বোলিংটা প্রথম ম্যাচের মতো হয়নি? নাকি শুক্রবার যে পিচে খেলা হয়েছে, সেটা প্রথম দিনের তুলনায় অনেকটাই ভালো, ব্যাটিং উপযোগী? খেলা শেষে টাইগার ভক্ত ও সমর্থকদের প্রায় সবার মনেই এসব প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। সে সব কৌতুহলী প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। খেলা শেষে রিয়াদ জানিয়েছেন, রাতে উইকেট তুলনামূলকভাবে ভালো আচরণ করেছে। তাহলে দিনের বেলা উইকেট কেমন ছিল? খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে এ প্রশ্ন। সে ব্যাখ্যাও আছে। টাইগার অধিনায়ক জানান, ‘আজকের উইকেট আগের ম্যাচের তুলনায় ভালো ছিল। দিনের বেলায় আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন বল স্পিন করছিল। উঁচু-নিচু হচ্ছিল। রাতে উইকেট আস্তে আস্তে ভালো হতে থাকে।’ রিয়াদ মনে করেন, উইকেটের আচরণের ব্যাপারটি দেখলে বাংলাদেশের বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে ১৪১ রানকে ডিফেন্ড করে ম্যাচ জেতানোর জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
শুধু বোলারদের নয়, ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু এনে দেয়া দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখেরও প্রশংসা করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার অনুভব, নতুন বলে এই উইকেটে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন। কেন কঠিন? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘যখন বলের সিম শক্ত থাকে তখন বেশ বাউন্স করে, কয়েকটা বল স্কিড করে। কিছু আবার জোরে বাঁক খায়। সেদিক থেকে নাইম ও লিটন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের যেমন শুরু দরকার ছিল পাওয়ার প্লেতে, একদম আদর্শ শুরু এনে দিয়েছে তারা। মাঝেও আমাদের বেশ কিছু ভালো জুটি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪০ রান (প্রকৃতপক্ষে ১৪১) করতে পেরেছি, এই উইকেটে এটা ভালো স্কোর ছিল।’ শেষ ওভারের নাটকীয়তা এবং এক পর্যায়ে মোস্তাফিজের এক ‘নো’ বলে চার হজম করায় ম্যাচে চরম নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছিল। সেটাকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাওয়া হলে রিয়াদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। সেটা বোলিংয়ে হোক কিংবা ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিংয়ে থাকলেও অনেক সময় ১২ বলে ২০ রান, ২৪ রান করতে হতে পারে। বোলারদেরও এমন রান বাঁচিয়ে ম্যাচ বের করতে হতে পারে। যেটা আজ মোস্তাফিজ খুব ভালোভাবে করেছে। এ জন্য আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’