ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

দালালদের খপ্পরে পড়া ঠেকাতে হাজতখানায় হাকিম

  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কঠোর লকডাউনের মধ্যে ‘অপ্রয়োজনে’ বেরিয়ে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, জরিমানা দিয়ে এই ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে আনা গেলেও আদালত প্রাঙ্গণে তাদের স্বজনদের পড়তে হচ্ছে দালালদের খপ্পড়ে। ভুক্তভোগীদের বাঁচাতে সরাসরি হাজতখানায় শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে সরাসরি জরিমানা গ্রহণ করছেন ঢাকার আদালতের বিচারক।
গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের হাজতখানায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের এসআই হাতে মাইক নিয়ে বলেন, “সিএমএম স্যার ১০০ টাকা করে ডিএমপি অ্যাক্টে সবাইকে জরিমানা করেছেন। তাই টাকা দিয়ে সবাই আসামিদের ছাড়িয়ে নেবেন। কেউ অন্য কোথাও টাকা পয়সা দেবেন না, প্রতারিত হবেন না।”

ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মোর্শেদ আল মামুন ভূইঞা রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গ্রেপ্তার প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন। এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়বে। কঠোর লকডাউনের মধ্যে চার দিনে দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের অনেকের জরিমানা দেওয়ার সামর্থ্যও ছিল না। এর মধ্যে তাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থার প্রলোভন দেখিয়ে টাউট ও দালালে ভরে গিয়েছিল আদালত চত্ত্বর। ঘোষিত জরিমানার দ্বিগুণ অর্থ দালালদের হাতে দিয়ে অনেককে কান্নাকাটি করতেও দেখা যায়। সোমবার বিকাল ৪টা অবধি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৫৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। লকডাউনের মধ্যেও একজন হাকিম দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের চাপে রাত ১১টায়ও এজলাসে আর খাসকামরায় থাকতে হচ্ছে তাকে। গত দিনগুলোতে মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ও রাজেশ চৌধুরীকে রাত সাড়ে ১১টা অবধি কাজ করতে হয়েছিল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মাসুদ পারভেজ ও পেশকার বি এ জনি খন্দকার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দালালদের খপ্পরে পড়া ঠেকাতে হাজতখানায় হাকিম

আপডেট সময় : ০১:১৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কঠোর লকডাউনের মধ্যে ‘অপ্রয়োজনে’ বেরিয়ে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, জরিমানা দিয়ে এই ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে আনা গেলেও আদালত প্রাঙ্গণে তাদের স্বজনদের পড়তে হচ্ছে দালালদের খপ্পড়ে। ভুক্তভোগীদের বাঁচাতে সরাসরি হাজতখানায় শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে সরাসরি জরিমানা গ্রহণ করছেন ঢাকার আদালতের বিচারক।
গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের হাজতখানায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের এসআই হাতে মাইক নিয়ে বলেন, “সিএমএম স্যার ১০০ টাকা করে ডিএমপি অ্যাক্টে সবাইকে জরিমানা করেছেন। তাই টাকা দিয়ে সবাই আসামিদের ছাড়িয়ে নেবেন। কেউ অন্য কোথাও টাকা পয়সা দেবেন না, প্রতারিত হবেন না।”

ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মোর্শেদ আল মামুন ভূইঞা রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গ্রেপ্তার প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন। এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়বে। কঠোর লকডাউনের মধ্যে চার দিনে দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এদের অনেকের জরিমানা দেওয়ার সামর্থ্যও ছিল না। এর মধ্যে তাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থার প্রলোভন দেখিয়ে টাউট ও দালালে ভরে গিয়েছিল আদালত চত্ত্বর। ঘোষিত জরিমানার দ্বিগুণ অর্থ দালালদের হাতে দিয়ে অনেককে কান্নাকাটি করতেও দেখা যায়। সোমবার বিকাল ৪টা অবধি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৫৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। লকডাউনের মধ্যেও একজন হাকিম দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের চাপে রাত ১১টায়ও এজলাসে আর খাসকামরায় থাকতে হচ্ছে তাকে। গত দিনগুলোতে মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ও রাজেশ চৌধুরীকে রাত সাড়ে ১১টা অবধি কাজ করতে হয়েছিল বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মাসুদ পারভেজ ও পেশকার বি এ জনি খন্দকার।