নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দারুস সালামের দ্বীপনগর এলাকায় পিটিয়ে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে; যারা ‘মাদক কারবারের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পুলিশের ভাষ্য।
দারুস সালাম জোনের সহকারী কমিশনার ইমদাদ হোসেন বিপুল জানিয়েছেন, শনিবার বেলা ১২টার দিকে দুই যুবক ওই এলাকায় যাওয়ার পর স্থানীয়রা ‘ক্ষিপ্ত হয়ে পিটুনি দিলে’ ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। এদের মধ্যে এক যুবকের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তার নাম তানভীর, গ্রামের বাড়ি বরিশালের কাজীরহাট এলাকায়।
তিনি গতকাল রাতে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনার পলাতক আসামি। বাকি একজনের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। নিহত দুই যুবক চিহ্নিত ‘মাদক কারবারি’, বলছে পুলিশ।
সহকারী কমিশনার বিপুল বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ওই এলাকায় মাদকবিরোধী একটা বড় অভিযান হয়েছিল। এই নিয়ে ওই এলাকায় বেশ উত্তেজনা ছিল। আজ দুইজন ওই এলাকায় যায়। তারপর মাদক কারবারিরা প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্রসহ মহড়া দিতে বের হলে গণপিটুনির শিকার হয়।
গণপিটুনিতের নিহতের বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার সালেহ্ মুহম্মদ জাকারিয়া বলেন, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে দ্বীপনগরের আহমেদনগর হাড্ডিপট্টি এলাকার স্থানীয় লোকজন থানায় এসে অভিযোগ করে কিছু লোক মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত। তারা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে।
তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করতে এসেছেন। সে অনুযায়ী রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাড্ডিপট্টির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে বাকি দুইজন পালিয়ে যায়।
শনিবার সকালে এই ঘটনায় গ্রেফতার দুইজন ও পলাতক দুইজনের নামে একটি মামলাও করা হয়। অভিযানে ‘ক্ষিপ্ত’ হয়ে তিন যুবক শনিবার ওই এলাকায় চাপাতি নিয়ে গিয়ে স্থানীয়দের হুমকি-ধামকি দেয়।
তাদের ‘মাল’ কারা ধরিয়ে দিল অভিযোগ করে একটি দোকানে প্রবেশ করে ‘হইহুল্লোর’ করে। এরপর স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাদেরকে ‘গণপিটুনি’ দেয় বলে তুলে ধরে পুলিশ কর্মকর্তা জাকারিয়া বলেন, “অন্তত ৪-৫ শ’ মানুষ জড়ো হয়ে তাদেরকে গণপিটুনি দিলে একজন পালিয়ে যায় ও দুইজন মারা যায়।