ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

দাম বেঁধে দিলে তেল দেবে না রাশিয়া

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

ডিডাব্লিউ, এপি : জি-৭ দেশগুলি থেকে ইইউ পর্যন্ত অনেকেই রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে। ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত চালু হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে ঠিক করেছে, তারা ওই সব দেশে তেল পাঠাবে না। রাশিয়ার তেল পেতে হলে, দাম বেঁধে দেয়া চলবে না। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। তবে প্রেসিডেন্টের ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পুতিন চাইলে কয়েকটি দেশকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারেন। তেলের দাম বেঁধে দেয়ার পরেও তাদের কাছে তেল বিক্রি করতে পারেন।
জি-৭ দশগুলির মধ্যে আছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও ইতালি। এছাড়া ইইউ-র দেশগুলি এবং অস্ট্রেলিয়া তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে। এই দেশগুলির মতে, তেল বিক্রি করে ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ জোগাড় করছে রাশিয়া। তাই তাদের হাতে যাতে কম অর্থ যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাহলে তারা ইউক্রেনে বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে এখন তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলার। তবে ভারত ও চীন এখন রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়েছে। বিবিসি জানাচ্ছে, গত নভেম্বরে চীন দিনে দশ লাখ ব্যারেল তেল কিনেছে, ভারত কিনেছে নয় লাখ ব্যারেল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেয়া দুর্বল ব্যবস্থা। কারণ, এর প্রভাব রাশিয়ার অর্থনীতিতে খুব বেশি পড়বে না।
তবে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তেলের দাম বেঁধে দেয়ায় তাদের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে। ২০২৩-এ ঘাটতির পরিমাণ ডিজিপি-র দুই শতাংশে রাখা যাবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাম বেঁধে দিলে তেল দেবে না রাশিয়া

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

ডিডাব্লিউ, এপি : জি-৭ দেশগুলি থেকে ইইউ পর্যন্ত অনেকেই রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে। ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত চালু হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে ঠিক করেছে, তারা ওই সব দেশে তেল পাঠাবে না। রাশিয়ার তেল পেতে হলে, দাম বেঁধে দেয়া চলবে না। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। তবে প্রেসিডেন্টের ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পুতিন চাইলে কয়েকটি দেশকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারেন। তেলের দাম বেঁধে দেয়ার পরেও তাদের কাছে তেল বিক্রি করতে পারেন।
জি-৭ দশগুলির মধ্যে আছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও ইতালি। এছাড়া ইইউ-র দেশগুলি এবং অস্ট্রেলিয়া তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে। এই দেশগুলির মতে, তেল বিক্রি করে ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ জোগাড় করছে রাশিয়া। তাই তাদের হাতে যাতে কম অর্থ যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাহলে তারা ইউক্রেনে বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে এখন তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলার। তবে ভারত ও চীন এখন রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়েছে। বিবিসি জানাচ্ছে, গত নভেম্বরে চীন দিনে দশ লাখ ব্যারেল তেল কিনেছে, ভারত কিনেছে নয় লাখ ব্যারেল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেয়া দুর্বল ব্যবস্থা। কারণ, এর প্রভাব রাশিয়ার অর্থনীতিতে খুব বেশি পড়বে না।
তবে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তেলের দাম বেঁধে দেয়ায় তাদের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে। ২০২৩-এ ঘাটতির পরিমাণ ডিজিপি-র দুই শতাংশে রাখা যাবে না।