নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘পরকীয়া’ সম্পর্ক এবং আগের বিয়ে ‘গোপন করা’ নিয়ে ‘দাম্পত্য কলহের’ জেরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি। গ্রেপ্তার মো. সোহাগ (২৭) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ওই এলাকাতেই স্ত্রী মুক্তা বেগমকে নিয়ে তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৩ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি পূর্বপাড়া মদিনা মসজিদের পাশে তাদের বাসা থেকে মুক্তা বেগমের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে গত বুধবার রাতে সোহাগকে গ্রেপ্তার করে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অপরাধী শনাক্ত করার কাজে নিয়োজিত সিআইডির এলআইসি (ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেল)শাখা।
তাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি জানান, মুক্তা বেগম আদমজী ইপিজেডের অনন্ত গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। একই এলাকার অপর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন সোহাগ। অন্য এক গার্মেন্টস কর্মীর মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়।
“তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠলে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা কাবিনে তারা বিয়ে করে বাসা ভাড়া করে ঘর সংসার করতে শুরু করেন। গত বছর মুক্তা তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।”
গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এর আগে ২০১৫ সালে পটুয়াখালীর বাউফল থানার কনকদিয়া গ্রামের বিলকিস বেগমের সাথে সোহাগের প্রথম বিয়ে হয় এবং সেই সংসারে তার পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
মুক্তা ধর বলেন, “আগের বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে বিলকিস বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং একই সঙ্গে কর্মস্থলে সোহাগের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার কথা এক পর্যায়ে মুক্তা জানতে পারেন।
“পরবর্তীতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ তৈরি হয়। এর জের ধরেই গত ২২ জানুয়ারি রাত ১০টায় মুক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সোহাগ।” এ ঘটনায় মুক্তা বেগমের চাচা সোহেল মিয়া গত ২৫ জানুয়ারি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় সিআইডি।
দাম্পত্য কলহে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ