ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

দাবদাহেও সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে শেকৃবিতে

  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) যথানিয়মে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিলেও ব্যতিক্রম রাজধানীর শেকৃবি। চলমান প্রচ- গরমের মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সশরীরে সামান্য বিরতি দিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। একই সঙ্গে যথানিয়মে চলবে পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সব ক্লাস-পরীক্ষা যথানিয়মেই পরিচালিত হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী চান সব ক্লাস অনলাইনে হোক। অনলাইনে ক্লাস নিতে কৃষি অনুষদের বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, এমন তীব্র গরমে ক্লাস করা কোনোভাবেই সম্ভব না। ক্লাসরুমে এসি নেই। যতগুলো ফ্যান আছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ভ্যাপসা গরমে ক্লাসে বসে থেকেও মনোযোগ দিতে পারা যায় না। তাই যত দ্রুত সম্ভব অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা গেলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। করোনার সময়ে অনলাইনে ক্লাস হওয়ায় বিষয়টিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উভয়েই অভ্যস্ত। আরেক শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, এই গরমে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো সশরীরে ক্লাস করে যাচ্ছি। এই গরমে একেতে আমরা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছি না, আবার অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। যেহেতু আমাদের সাবজেক্টগুলো প্রাকটিক্যাল এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে থাকে, তাই ক্লাসরুম ঠিকঠাক করা যায় কি না এটা নিয়েও ভাবছি। আগামীকালই ক্লাসরুমসহ ফ্লোরগুলো পরিদর্শন করবো।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

দাবদাহেও সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে শেকৃবিতে

আপডেট সময় : ১০:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) যথানিয়মে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিলেও ব্যতিক্রম রাজধানীর শেকৃবি। চলমান প্রচ- গরমের মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সশরীরে সামান্য বিরতি দিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। একই সঙ্গে যথানিয়মে চলবে পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সব ক্লাস-পরীক্ষা যথানিয়মেই পরিচালিত হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী চান সব ক্লাস অনলাইনে হোক। অনলাইনে ক্লাস নিতে কৃষি অনুষদের বিভিন্ন ব্যাচের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, এমন তীব্র গরমে ক্লাস করা কোনোভাবেই সম্ভব না। ক্লাসরুমে এসি নেই। যতগুলো ফ্যান আছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ভ্যাপসা গরমে ক্লাসে বসে থেকেও মনোযোগ দিতে পারা যায় না। তাই যত দ্রুত সম্ভব অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা গেলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। করোনার সময়ে অনলাইনে ক্লাস হওয়ায় বিষয়টিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উভয়েই অভ্যস্ত। আরেক শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, এই গরমে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো সশরীরে ক্লাস করে যাচ্ছি। এই গরমে একেতে আমরা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছি না, আবার অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। যেহেতু আমাদের সাবজেক্টগুলো প্রাকটিক্যাল এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে থাকে, তাই ক্লাসরুম ঠিকঠাক করা যায় কি না এটা নিয়েও ভাবছি। আগামীকালই ক্লাসরুমসহ ফ্লোরগুলো পরিদর্শন করবো।