ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

দাফনের ৮২ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন

  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : মরদেহ দাফনের ৮২ দিন পর আদালতের নির্দেশে ঝিনাইদহে সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার নগরবাথান (ঘোষপাড়া) গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে সোহানের মরদেহ উত্তোলন করে। সোহান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান (ঘোষপাড়া) গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় সোহানের। একটি মহল ২১ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করে। মরদেহ দাফনের পর সোহানকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঝিনাইদহের একটি আদালতে তার বাবা শহিদুল ইসলাম ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে ঝিনাইদহ সদর আমলি আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন। সোহানের মা সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭)। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মামলার বাদী সোহানের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাকিব ও তার অজ্ঞাত বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার ৩০০ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহিদুল ইসলাম ছেলেকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায়, সে খুব ঝামেলায় আছে। এরপর সোহানের বাবা সাকিবকে ফোন করেন। এ সময় ফোন ধরে সাকিব গালিগালাজ করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোহানের বাবাকে ফোন করে জানানো হয় সোহান হাসপাতালে। খবর পেয়ে সোহানের বাবা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত। সোহানের বাবা আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে থাকতেই সাকিবের বাবা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোনো ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেন। এ ছাড়া সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেন পুলিশ গেলে তিনি যেন তাদের বলেন সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ বলেন, আদালতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাফনের ৮২ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন

আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : মরদেহ দাফনের ৮২ দিন পর আদালতের নির্দেশে ঝিনাইদহে সোহান (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেফতাহুল হাসানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার নগরবাথান (ঘোষপাড়া) গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে সোহানের মরদেহ উত্তোলন করে। সোহান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান (ঘোষপাড়া) গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় সোহানের। একটি মহল ২১ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করে। মরদেহ দাফনের পর সোহানকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঝিনাইদহের একটি আদালতে তার বাবা শহিদুল ইসলাম ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে ঝিনাইদহ সদর আমলি আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন। সোহানের মা সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে নগরবাথান গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সাকিব (২৭)। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মামলার বাদী সোহানের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাকিব ও তার অজ্ঞাত বন্ধুরা সোহানকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার ৩০০ ফিটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহিদুল ইসলাম ছেলেকে বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করলে সোহান জানায়, সে খুব ঝামেলায় আছে। এরপর সোহানের বাবা সাকিবকে ফোন করেন। এ সময় ফোন ধরে সাকিব গালিগালাজ করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোহানের বাবাকে ফোন করে জানানো হয় সোহান হাসপাতালে। খবর পেয়ে সোহানের বাবা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান সাকিবের দুই ফুফু ডায়রি খাতুন ও আরজিনা খাতুন সেখানে উপস্থিত। সোহানের বাবা আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে থাকতেই সাকিবের বাবা আব্দুল আজিজ তাকে ফোন করে কোনো ঝামেলা না করার জন্য হুমকি দেন। এ ছাড়া সাকিবের ফুফা আরব আলী তাকে শিখিয়ে দেন পুলিশ গেলে তিনি যেন তাদের বলেন সোহান দুর্ঘটনায় মারা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফ বলেন, আদালতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে।