ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

‘দাদা সাহেব ফালকে’ সম্মান পাচ্ছেন ওয়াহিদা রহমান

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: ‘দাদা সাহেব ফালকে’ সম্মান পাচ্ছেন ভারতের বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান। ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে দাদা সাহেব ফালকে লাইভটাইম অ্য়াচিভমেন্ট পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ঘোষণা করেন এই পুরস্কার। চলতি বছরের শেষেই পুরস্কার হাতে পাবেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম উজ্জ্বল অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান। ‘গাইড’, ‘প্য়ায়াসা’, ‘কাগজ কে ফুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘খামোশি’র মতো সিনেমা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। শুধু বক্স অফিস নয়, তার অসাধারণ অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শক থেকে ফিল্ম সমালোচকদেরও। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সিনেমার পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা। সবশেষ ২০১৫ সালে কমল হাসান অভিনীত ‘বিশ্বরূপম ২’সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে।
১৯৫৬ সালে ‘সিআইডি’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন ওয়াহিদা। সিনেমাটির সাফল্যের পর ১৯৫৭ সালে ‘পয়সা’ সিনেমায় নায়িকার ভ‚মিকায় অভিনয় করেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন ওয়াহিদা। বলিউডের গুঞ্জন পাড়াতেও এক সময় ওয়াহিদা ছিলেন হট ফেভারিট। পরিচালক ও অভিনেতা গুরু দত্তর সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক নিয়ে সেই সময় মুখর হতো নানা ফিল্ম ম্য়াগাজিন। তবে শুধু সিনেমা নয়, নানা সমাজসেবার সঙ্গেও যুক্ত থাকেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। এর আগে ওয়াহিদা ১৯৭১ সালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে ১৯৬৬ ও ১৯৬৮ সালে ফিল্ম ফেয়ার, ১৯৯৪ সালে ফিল্ম ফেয়ার আজীবন সম্মননা পুরস্কার, ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার এবং ২০১১ সালে পদ্মভ‚ষণ পুরস্কার লাভ করেন। শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন ছাড়াও মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্রাঙ্গনের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ওয়াহিদা। এই অবদানের জন্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘দাদা সাহেব ফালকে’ সম্মান পাচ্ছেন ওয়াহিদা রহমান

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: ‘দাদা সাহেব ফালকে’ সম্মান পাচ্ছেন ভারতের বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান। ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে দাদা সাহেব ফালকে লাইভটাইম অ্য়াচিভমেন্ট পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ঘোষণা করেন এই পুরস্কার। চলতি বছরের শেষেই পুরস্কার হাতে পাবেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম উজ্জ্বল অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান। ‘গাইড’, ‘প্য়ায়াসা’, ‘কাগজ কে ফুল’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘খামোশি’র মতো সিনেমা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। শুধু বক্স অফিস নয়, তার অসাধারণ অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শক থেকে ফিল্ম সমালোচকদেরও। প্রায় পাঁচ দশক ধরে সিনেমার পর্দায় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা। সবশেষ ২০১৫ সালে কমল হাসান অভিনীত ‘বিশ্বরূপম ২’সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে।
১৯৫৬ সালে ‘সিআইডি’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন ওয়াহিদা। সিনেমাটির সাফল্যের পর ১৯৫৭ সালে ‘পয়সা’ সিনেমায় নায়িকার ভ‚মিকায় অভিনয় করেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন ওয়াহিদা। বলিউডের গুঞ্জন পাড়াতেও এক সময় ওয়াহিদা ছিলেন হট ফেভারিট। পরিচালক ও অভিনেতা গুরু দত্তর সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক নিয়ে সেই সময় মুখর হতো নানা ফিল্ম ম্য়াগাজিন। তবে শুধু সিনেমা নয়, নানা সমাজসেবার সঙ্গেও যুক্ত থাকেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। এর আগে ওয়াহিদা ১৯৭১ সালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে ১৯৬৬ ও ১৯৬৮ সালে ফিল্ম ফেয়ার, ১৯৯৪ সালে ফিল্ম ফেয়ার আজীবন সম্মননা পুরস্কার, ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার এবং ২০১১ সালে পদ্মভ‚ষণ পুরস্কার লাভ করেন। শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন ছাড়াও মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্রাঙ্গনের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ওয়াহিদা। এই অবদানের জন্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।