ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

দাগনভূঞায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর দাগনভূঞায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেটে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। তবে পুরুষের চাইতে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকান ও মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে এই ভিড় রাত ১১টা পর্যন্ত থাকে। উপজেলা সদরের আতাতুর্ক স্কুল মার্কেট, ইসহাক খায়ের রহমান শপিং কমপ্লেক্স, এফটিসি মার্কেট, ছাদেরুজ্জামান মার্কেট, তৈয়বা মার্কেট, আর বি প্লাজা, হিরণ মার্কেট, সুলতান মার্কেটসহ মফস্বলের দরবেশের হাট, রাজাপুর, কোরাইশমুন্সি, বৈরাগীরহাট, সিলোনিয়া, গজারিয়া ও বেকের বাজারের মিনি মার্কেটগুলোতে কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানেও নি¤œবিত্ত মানুষদের আনাগোনা আছে। রমজানের ১৫তম দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সরেজমিন বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে তারা আগে ভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে ফিরছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। অপরদিকে রোজার শুরুতে ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে ঈদে ভালো বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা। ঈদকে ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়া কাট ও নায়রা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে সিকুয়েন্স ও সুলতান পাঞ্জাবি এবার বেশি সাড়া ফেলার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা। এবছর ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা মেয়েদের আলিয়া কাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২’শ টাকায়। ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা ছেলেদের সিকুয়েন্স পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ’ টাকায়। ইসহাক মার্কেটের ব্যবসায়ী নিশাত শাড়ি বিতানের মালিক হেলাল উদ্দিন বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে। হিরণ মার্কেটের ব্যবসায়ী সুলতান ফেব্রিক্সের মালিক ওমর ফারুক বলেন, এবার রমজানের প্রথম থেকেই মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি ভালো ব্যবসা হবে। এফটিসি মার্কেটে কথা হয় নিগার সুলতানার সঙ্গে। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার হাজব্যান্ড ব্যবসায়ী। খুব বিজি থাকেন। তাই তার জন্য একটা পাঞ্জাবী নিলাম। তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। কিন্তু পছন্দমতো কিনতে পেরে খুশি তিনি। পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন নুর নবী। তিনি বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করা খুব কষ্টের। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। দাগনভূঞা বাজারের কয়েকজন কসমেটিক্স দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গতবারের তুলনায় ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। পোশাক ও কসমেটিক্সের পাশাপাশি বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি। ছোট-বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও কারও কাছে গতবছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে দোকানিরা বলছেন তারা যেভাবে কিনে এনেছেন সেভাবেই বিক্রি করছেন। দাগনভূঞা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ তাদের বেচাকেনা সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি, মার্কেট মনিটরিং করছি। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। মার্কেটগুলোর সামনে পুলিশের টিম রয়েছে। চুরি,ডাকাতি , ছিনতাইসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

দাগনভূঞায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

আপডেট সময় : ১২:০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর দাগনভূঞায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেটে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। তবে পুরুষের চাইতে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকান ও মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে এই ভিড় রাত ১১টা পর্যন্ত থাকে। উপজেলা সদরের আতাতুর্ক স্কুল মার্কেট, ইসহাক খায়ের রহমান শপিং কমপ্লেক্স, এফটিসি মার্কেট, ছাদেরুজ্জামান মার্কেট, তৈয়বা মার্কেট, আর বি প্লাজা, হিরণ মার্কেট, সুলতান মার্কেটসহ মফস্বলের দরবেশের হাট, রাজাপুর, কোরাইশমুন্সি, বৈরাগীরহাট, সিলোনিয়া, গজারিয়া ও বেকের বাজারের মিনি মার্কেটগুলোতে কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানেও নি¤œবিত্ত মানুষদের আনাগোনা আছে। রমজানের ১৫তম দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সরেজমিন বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে তারা আগে ভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে ফিরছেন তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। অপরদিকে রোজার শুরুতে ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে ঈদে ভালো বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা। ঈদকে ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়া কাট ও নায়রা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে সিকুয়েন্স ও সুলতান পাঞ্জাবি এবার বেশি সাড়া ফেলার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা। এবছর ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা মেয়েদের আলিয়া কাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২’শ টাকায়। ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে থাকা ছেলেদের সিকুয়েন্স পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ’ টাকায়। ইসহাক মার্কেটের ব্যবসায়ী নিশাত শাড়ি বিতানের মালিক হেলাল উদ্দিন বলেন, এবার ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে। হিরণ মার্কেটের ব্যবসায়ী সুলতান ফেব্রিক্সের মালিক ওমর ফারুক বলেন, এবার রমজানের প্রথম থেকেই মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি ভালো ব্যবসা হবে। এফটিসি মার্কেটে কথা হয় নিগার সুলতানার সঙ্গে। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার হাজব্যান্ড ব্যবসায়ী। খুব বিজি থাকেন। তাই তার জন্য একটা পাঞ্জাবী নিলাম। তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। কিন্তু পছন্দমতো কিনতে পেরে খুশি তিনি। পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন নুর নবী। তিনি বলেন, রোজার শেষ সময় মার্কেটে অনেকে ভিড় থাকে। ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করা খুব কষ্টের। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। দাগনভূঞা বাজারের কয়েকজন কসমেটিক্স দোকানদারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গতবারের তুলনায় ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। পোশাক ও কসমেটিক্সের পাশাপাশি বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি। ছোট-বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও কারও কাছে গতবছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে দোকানিরা বলছেন তারা যেভাবে কিনে এনেছেন সেভাবেই বিক্রি করছেন। দাগনভূঞা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ তাদের বেচাকেনা সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি, মার্কেট মনিটরিং করছি। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। মার্কেটগুলোর সামনে পুলিশের টিম রয়েছে। চুরি,ডাকাতি , ছিনতাইসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।