ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

দলে ডাক পড়লে সাড়া দেব: সোহেল তাজ

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক। তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, তাঁকে যদি দলের প্রয়োজন হয়, তাঁর যদি ডাক পড়ে, তিনি সাড়া দেবেন।
১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে যান সোহেল তাজ। সেখানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। রাজনীতিতে ফিরছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আসলে আমি তো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার মা ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আমাদের রক্তের ভেতরে আওয়ামী লীগ।’
সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকব। বরাবরই বলে এসেছি, আমাকে যদি প্রয়োজন হয়, আমার যদি ডাক পড়ে, আমি সাড়া দেব। আমি আবার রাজপথে থাকব। ২০০১ সালে বিএনপি জায়ামাত-জোট সরকারের সময় যেমন ছিলাম, ঠিক সেভাবেই থাকব। আমি সে অবস্থানেই আছি।’
সোহেল তাজ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। কারণ, একটা দেশের উন্নতি-ভবিষ্যৎ, সেই দেশের জনগণ তৈরি করে। সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সেই সোনার মানুষ, ভালো মানুষ তৈরি করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। শোকাহত এই দিনে আমাদের সবারই শপথ নেওয়া উচিত, নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
সোহেল তাজ বলেন, তিনি মনে করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুধু বাংলাদেশেরই নয়, সারা বিশ্বের জঘন্যতম একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সোহেল তাজ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যেখানে আমরা সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারব, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা আমাদের বুকে একটি ছুরিকাঘাত। আমি মনে করি, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর অবদান, জাতীয় চার নেতার অবদান তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী, যাঁদের নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন, সেটাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের চালিকা শক্তি। সোহেল তাজ বলেন, ‘জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ৩ নভেম্বর চার নেতাকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না। সে সময় আমার মা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময় শেখ হাসিনা ফিরে এসে আমাদের নেতৃত্ব দেন।’ সোমবার বনানী কবরস্থানে সোহেল তাজ তাঁর মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দলে ডাক পড়লে সাড়া দেব: সোহেল তাজ

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক। তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, তাঁকে যদি দলের প্রয়োজন হয়, তাঁর যদি ডাক পড়ে, তিনি সাড়া দেবেন।
১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে যান সোহেল তাজ। সেখানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। রাজনীতিতে ফিরছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আসলে আমি তো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার মা ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আমাদের রক্তের ভেতরে আওয়ামী লীগ।’
সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকব। বরাবরই বলে এসেছি, আমাকে যদি প্রয়োজন হয়, আমার যদি ডাক পড়ে, আমি সাড়া দেব। আমি আবার রাজপথে থাকব। ২০০১ সালে বিএনপি জায়ামাত-জোট সরকারের সময় যেমন ছিলাম, ঠিক সেভাবেই থাকব। আমি সে অবস্থানেই আছি।’
সোহেল তাজ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। কারণ, একটা দেশের উন্নতি-ভবিষ্যৎ, সেই দেশের জনগণ তৈরি করে। সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সেই সোনার মানুষ, ভালো মানুষ তৈরি করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। শোকাহত এই দিনে আমাদের সবারই শপথ নেওয়া উচিত, নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
সোহেল তাজ বলেন, তিনি মনে করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুধু বাংলাদেশেরই নয়, সারা বিশ্বের জঘন্যতম একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সোহেল তাজ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যেখানে আমরা সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারব, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা আমাদের বুকে একটি ছুরিকাঘাত। আমি মনে করি, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর অবদান, জাতীয় চার নেতার অবদান তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী, যাঁদের নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন, সেটাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের চালিকা শক্তি। সোহেল তাজ বলেন, ‘জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ৩ নভেম্বর চার নেতাকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না। সে সময় আমার মা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময় শেখ হাসিনা ফিরে এসে আমাদের নেতৃত্ব দেন।’ সোমবার বনানী কবরস্থানে সোহেল তাজ তাঁর মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেছেন।