ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

দলের প্রয়োজনে মনে করলে নিজের আমেরিকান ভিসা জ্বালিয়ে দেবো’

  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমারও আমেরিকার ভিসা আছে। দলের প্রয়োজনে যদি মনে করি সাংবাদিক ডেকে সেই ভিসা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেবো। কারণ, কানাডার আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল বিএনপির জন্য বিবৃতি দেয় আমেরিকা। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বলে না। তাদের (আমেরিকা) একটাই নীতি যারে দেখতে পারি না তার চলন বাঁকা।’ বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন। কাদের মির্জা বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কাদায় (লোদে) আটকে গেছে। তারা ২৯ জুলাই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আবার অ-আ থেকে শুরু করেছে, ও-ঔ পর্যন্ত যেতে যেতে দেশে নির্বাচন হয়ে যাবে। তাদের (বিএনপি) নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদেরের এই ছোট ভাই বলেন, ‘আপনি টাকার বাহাদুরি দেখান? দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা আপনাকে টাকা দেয়। এবার আপনাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। কারণ, আপনি যে হারে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, এতে নির্বাচনে না গেলে ওদের টাকাও ফেরত দেবেন না। ফলে মনোনয়ন না পেলে ওই নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তখন মুসলিম লীগে পরিণত হবে বিএনপি।’ প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আগস্ট মাসে আট বিভাগীয় শহরে আপনার নেতৃত্বে আটটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিসহ সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করবেন। যার প্রতিপাদ্য হবে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। এতে দলের ভীত আরও মজবুত হবে। সামনের নির্বাচনে দল হবে শক্তিশালী। কিছু কিছু মন্ত্রী-এমপি আছে যারা এলাকায় যান না। দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের এলাকায় কত টাকার উন্নয়ন হয়েছে সেটাও জানেন না। তারা মনোনয়ন পেতে ঢাকায় ঘুরঘুর করছেন। এ ধরনের এমপিদের মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হবে না।’ আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘অনেকে বিদেশ থেকে হঠাৎ এসে মনোনয়ন পান। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের এভাবে মনোনয়ন না দিয়ে ১০টি আসন প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত করার প্রস্তাব করছি। অন্যদিকে, যে আসনে যাকে পছন্দ তাকে এখনই সিগন্যাল দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। যাতে এখন থেকে কাজ করতে সুবিধা হয়।’ এ ছাড়া নেতাদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রত্যেক জেলায় এক বা দুইজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সামনের নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও উল্লেখ করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

দলের প্রয়োজনে মনে করলে নিজের আমেরিকান ভিসা জ্বালিয়ে দেবো’

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমারও আমেরিকার ভিসা আছে। দলের প্রয়োজনে যদি মনে করি সাংবাদিক ডেকে সেই ভিসা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেবো। কারণ, কানাডার আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল বিএনপির জন্য বিবৃতি দেয় আমেরিকা। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বলে না। তাদের (আমেরিকা) একটাই নীতি যারে দেখতে পারি না তার চলন বাঁকা।’ বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন। কাদের মির্জা বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কাদায় (লোদে) আটকে গেছে। তারা ২৯ জুলাই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আবার অ-আ থেকে শুরু করেছে, ও-ঔ পর্যন্ত যেতে যেতে দেশে নির্বাচন হয়ে যাবে। তাদের (বিএনপি) নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদেরের এই ছোট ভাই বলেন, ‘আপনি টাকার বাহাদুরি দেখান? দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা আপনাকে টাকা দেয়। এবার আপনাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। কারণ, আপনি যে হারে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, এতে নির্বাচনে না গেলে ওদের টাকাও ফেরত দেবেন না। ফলে মনোনয়ন না পেলে ওই নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তখন মুসলিম লীগে পরিণত হবে বিএনপি।’ প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আগস্ট মাসে আট বিভাগীয় শহরে আপনার নেতৃত্বে আটটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিসহ সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করবেন। যার প্রতিপাদ্য হবে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। এতে দলের ভীত আরও মজবুত হবে। সামনের নির্বাচনে দল হবে শক্তিশালী। কিছু কিছু মন্ত্রী-এমপি আছে যারা এলাকায় যান না। দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের এলাকায় কত টাকার উন্নয়ন হয়েছে সেটাও জানেন না। তারা মনোনয়ন পেতে ঢাকায় ঘুরঘুর করছেন। এ ধরনের এমপিদের মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হবে না।’ আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘অনেকে বিদেশ থেকে হঠাৎ এসে মনোনয়ন পান। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের এভাবে মনোনয়ন না দিয়ে ১০টি আসন প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত করার প্রস্তাব করছি। অন্যদিকে, যে আসনে যাকে পছন্দ তাকে এখনই সিগন্যাল দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। যাতে এখন থেকে কাজ করতে সুবিধা হয়।’ এ ছাড়া নেতাদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রত্যেক জেলায় এক বা দুইজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সামনের নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও উল্লেখ করেন।