ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দক্ষিণ চীন সাগরে একটি বালুচর দখলে নিলো বেইজিং

  • আপডেট সময় : ১১:৫২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ছোট বালুচর দখল করেছে চীনা কোস্টগার্ড। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে। এতে ফিলিপাইনের সাথে বেইজিংয়ের আঞ্চলিক বিরোধের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চীনের সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে-চারজন চীনা কোস্টগার্ড সদস্য কালো পোশাক পরিহিত অবস্থায় স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত স্যান্ডি কেতে চীনের জাতীয় পতাকা উড়াচ্ছেন।

সিসিটিভি জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই চীন “সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর” এবং “সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রয়োগ” করেছে এই অঞ্চলে।

চীন ও ফিলিপাইন-উভয় দেশই স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জসহ দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন দ্বীপ ও পানিসীমার ওপর দাবি করে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায়, রোববার ফিলিপাইনও তিনটি বালুচরে নিজেদের পতাকা স্থাপন করেছে বলে জানায় এবং চীনের ছবির মতো করেই নিজেদের বাহিনীর ছবি প্রকাশ করে। তবে ফিলিপাইনের বাহিনী যে তিনটি বালুচরে পৌঁছেছে, তার মধ্যে স্যান্ডি কে ছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ফিলিপাইনের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এক বালুচরের কাছাকাছি চীনের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ এবং সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযান দেখেছে। এই অবস্থাকে তারা “চীনের অবৈধ উপস্থিতি” বলেও আখ্যা দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই অভিযান আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার এবং কর্তৃত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ়তার প্রমাণ। অবশ্য দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। এর আগে একাধিকবার জাহাজ সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

বিবিসি বলছে, স্যান্ডি কে দ্বীপটি ফিলিপাইনের থিটু দ্বীপের (স্থানীয়ভাবে পাগ-আসা নামে পরিচিত) কাছে অবস্থিত। থিটু দ্বীপে ফিলিপাইনের একটি সামরিক ফাঁড়ি আছে, যেখান থেকে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নৌচলাচল পর্যবেক্ষণ করে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী চীনা দখলদারিত্বের লক্ষণ পাওয়া যায়নি এবং চীনা কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানটি ছেড়ে চলে গেছে বলে জানা গেছে।

বদিকে চীনের এই পদক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেন, এ ধরনের কর্মকা- আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা করছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দক্ষিণ চীন সাগরে একটি বালুচর দখলে নিলো বেইজিং

আপডেট সময় : ১১:৫২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ছোট বালুচর দখল করেছে চীনা কোস্টগার্ড। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে। এতে ফিলিপাইনের সাথে বেইজিংয়ের আঞ্চলিক বিরোধের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চীনের সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে-চারজন চীনা কোস্টগার্ড সদস্য কালো পোশাক পরিহিত অবস্থায় স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত স্যান্ডি কেতে চীনের জাতীয় পতাকা উড়াচ্ছেন।

সিসিটিভি জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই চীন “সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর” এবং “সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রয়োগ” করেছে এই অঞ্চলে।

চীন ও ফিলিপাইন-উভয় দেশই স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জসহ দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন দ্বীপ ও পানিসীমার ওপর দাবি করে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায়, রোববার ফিলিপাইনও তিনটি বালুচরে নিজেদের পতাকা স্থাপন করেছে বলে জানায় এবং চীনের ছবির মতো করেই নিজেদের বাহিনীর ছবি প্রকাশ করে। তবে ফিলিপাইনের বাহিনী যে তিনটি বালুচরে পৌঁছেছে, তার মধ্যে স্যান্ডি কে ছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ফিলিপাইনের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এক বালুচরের কাছাকাছি চীনের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ এবং সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযান দেখেছে। এই অবস্থাকে তারা “চীনের অবৈধ উপস্থিতি” বলেও আখ্যা দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই অভিযান আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার এবং কর্তৃত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ়তার প্রমাণ। অবশ্য দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। এর আগে একাধিকবার জাহাজ সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

বিবিসি বলছে, স্যান্ডি কে দ্বীপটি ফিলিপাইনের থিটু দ্বীপের (স্থানীয়ভাবে পাগ-আসা নামে পরিচিত) কাছে অবস্থিত। থিটু দ্বীপে ফিলিপাইনের একটি সামরিক ফাঁড়ি আছে, যেখান থেকে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নৌচলাচল পর্যবেক্ষণ করে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী চীনা দখলদারিত্বের লক্ষণ পাওয়া যায়নি এবং চীনা কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানটি ছেড়ে চলে গেছে বলে জানা গেছে।

বদিকে চীনের এই পদক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেন, এ ধরনের কর্মকা- আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা করছে।