ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ চীনে ভয়াবহ বন্যা, ৫০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবিরাম বর্ষণে বন্যা আর ভূমিধসে বিধ্বস্ত দক্ষিণ চীনের কয়েকটি প্রদেশ। সেখানের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার সেখানকার আরো দুটি প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ সেখানকার নদীর পানি বিপৎসীমা পেড়িয়ে গেছে। এ অঞ্চলে গত ৫০ বছরে এবারই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। খবর বিবিসির।
দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৬১ সালের পর এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নদীর তীরে এবং নিচু এলাকায় বসবাসকারী সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উঁচু জমিতে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বন্যায় চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শাওগুয়ান শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই অঞ্চলে মে মাসের শেষের দিক থেকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ সেখানকার কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রদেশর কিংইয়ুয়ান শহরের জন্যও একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
সিনহুয়া নিউজ জানিয়েছে, এদিকে উত্তর-পূর্ব চীনের জিয়াংসি প্রদেশে নয়টি জেলার ৪ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। এলাকাটিতে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসল ধ্বংস হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং পার্ল নদীর অববাহিকায় জলের স্তর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, মে মাসের শুরু থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত গুয়াংডং, ফুজিয়ান এবং গুয়াংসি প্রদেশে গড় বৃষ্টিপাত ৬২১ মিলিমিটারে পৌঁছেছে যা ১৯৬১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। গ্রীষ্মকালীন বর্ষা মৌসুমে নিয়মিতভাবে দক্ষিণ চীনে বন্যা দেখা দেয়, তবে উদ্বেগ রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ আকার ধারণ করছে দিন দিন।
লাখ লাখ মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে : চীনের দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের জেরে এসব এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ সরিয়ে নিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার কয়েকটি নদীর পানির উচ্চতা ৫০ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করে। ফলে দুইটি প্রদেশে বন্যার পূর্বাভাস নবায়ন করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তায় গাড়ি ভেসে গেছে। আর তীব্র স্রোতের নদী থেকে মানুষ উদ্ধারে ব্যবহার করা হচ্ছে দড়ি। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেছেন, এই এলাকায় ১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীর তীর এবং নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে আরও উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বন্যার কবলে পড়া শহরগুলোর অন্যতম হচ্ছে গুয়াংডং প্রদেশের সাওগুয়ান শহর। শহরের কর্তৃপক্ষ বন্যা সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। মে মাসের শেষ সময় থেকেই শহরটিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দক্ষিণ চীনে ভয়াবহ বন্যা, ৫০ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

আপডেট সময় : ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবিরাম বর্ষণে বন্যা আর ভূমিধসে বিধ্বস্ত দক্ষিণ চীনের কয়েকটি প্রদেশ। সেখানের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার সেখানকার আরো দুটি প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ সেখানকার নদীর পানি বিপৎসীমা পেড়িয়ে গেছে। এ অঞ্চলে গত ৫০ বছরে এবারই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। খবর বিবিসির।
দেশটির আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৬১ সালের পর এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নদীর তীরে এবং নিচু এলাকায় বসবাসকারী সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উঁচু জমিতে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বন্যায় চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শাওগুয়ান শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই অঞ্চলে মে মাসের শেষের দিক থেকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ সেখানকার কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ স্তরের বন্যা সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রদেশর কিংইয়ুয়ান শহরের জন্যও একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
সিনহুয়া নিউজ জানিয়েছে, এদিকে উত্তর-পূর্ব চীনের জিয়াংসি প্রদেশে নয়টি জেলার ৪ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। এলাকাটিতে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসল ধ্বংস হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং পার্ল নদীর অববাহিকায় জলের স্তর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, মে মাসের শুরু থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত গুয়াংডং, ফুজিয়ান এবং গুয়াংসি প্রদেশে গড় বৃষ্টিপাত ৬২১ মিলিমিটারে পৌঁছেছে যা ১৯৬১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। গ্রীষ্মকালীন বর্ষা মৌসুমে নিয়মিতভাবে দক্ষিণ চীনে বন্যা দেখা দেয়, তবে উদ্বেগ রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ আকার ধারণ করছে দিন দিন।
লাখ লাখ মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে : চীনের দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের জেরে এসব এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ সরিয়ে নিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার কয়েকটি নদীর পানির উচ্চতা ৫০ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করে। ফলে দুইটি প্রদেশে বন্যার পূর্বাভাস নবায়ন করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তায় গাড়ি ভেসে গেছে। আর তীব্র স্রোতের নদী থেকে মানুষ উদ্ধারে ব্যবহার করা হচ্ছে দড়ি। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেছেন, এই এলাকায় ১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। নদীর তীর এবং নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে আরও উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বন্যার কবলে পড়া শহরগুলোর অন্যতম হচ্ছে গুয়াংডং প্রদেশের সাওগুয়ান শহর। শহরের কর্তৃপক্ষ বন্যা সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। মে মাসের শেষ সময় থেকেই শহরটিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে।