স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ড্র করলেই যথেষ্ঠ হতো বাংলাদেশের মেয়েদের; প্রথম সুযোগেই চলে যেতে পারতো ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। কিন্তু আফঈদা খন্দকাররা পারেননি দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে এক পয়েন্ট আদায় করতে। উল্টো ৬-১ ব্যবধানে হেরে নিজেদের অসহায়ত্ব দেখিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম সুযোগেই বয়সভিত্তিক মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের মূল পর্বে চলে গেছে কোরিয়া।
আজ রেববার (১০ আগস্ট) নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হার এড়ালেই ইতিহাস বাংলাদেশের মেয়েদের; এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে পনেরো মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার স্বপ্নটা তখন আরো বড় হতে থাকলো বাংলাদেশের। তবে সেই উচ্ছ্বাস বেশি সময় টেকেনি। তৃষ্ণার গোলে লিড নেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশের চেয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা কোরিয়া।
প্রথমার্ধ ১-১ গোলে সমতা। দুর্দান্ত একটা লড়াইয়ের প্রত্যাশাই ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খোলস থেকে বেরিয়ে আসলো কোরিয়ান মেয়েরা। আগের ম্যাচে লাওসের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টের জয়ে তাদের যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের জালে গোল উৎসব করে।
দ্বিতীয়ার্ধে লিড নিতে বেশি সময় নেয়নি কোরিয়ান মেয়েরা। বাংলাদেশের দুর্বল রক্ষণের পুরোপুরি সুবিধা নিয়ে নেয় ২১ নম্বরে থাকা দলটি। ৪৮ মিনিটে ২-১ করে কোরিয়া। ওই ব্যবধানে হারলে সেরা তিন রানার্সআপের একটি হওয়ার সম্ভাবনা বেঁচে থাকতো পিটার বাটলারের দলের। তবে বাংলাদেশের রক্ষণ বালুর বাঁধের মতো ভেঙ্গে যায় দ্বিতীয়ার্ধে।
দুর্বল পাসিং ও রিসিংভিংয়ের মহড়া চলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রদের। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোরিয়া একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৬০ মিনিটে ৩-১ করা কোরিয়া শেষ চার মিনিটে করে তিন গোল। ৮৬ মিনিটে ৪-১, ৯০ মিনিটে ৫-১ এবং ইনজুরি সময়ে করে ৬-১।
সন্ধ্যায় ৮ গ্রুপের আরো ৮ টি ম্যাচ আছে। ওই ম্যাচগুলো শেষ হওয়ার পরই বোঝা যাবে সেরা তিন রানার্সআপ হয়ে কারা চূড়ান্ত পর্বে ওঠে। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের গোলের মালা পরিয়ে লাল-সবুজের মেয়েদের সম্ভাবনা এক কথায় শেষ করে দিয়েছে কোরিয়া।
এসি/