ক্রীড়া ডেস্ক: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। চলমান নবম আসরে ‘বি’ গ্রুপে পাকিস্তানের করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানরা। ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিষেক স্মরনীয় করে রাখতে চায় আফগানিস্তান। অন্যদিকে, এবারের আসর জয় দিয়ে শুরু করার লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। এই প্রথমবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফগানিস্তান। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থাকায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট পায় আফগানরা। নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিষেক ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙাতে চায় আফগানিস্তান। দলের অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি বলেন, ‘প্রথমবারের মত আইসিসি মেগা ইভেন্টে আমরা খেলতে নামবো। এজন্য এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক বিষয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্থান। সব দলের কাছেই এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের কাছেও কোন অংশ কম নয়। তবে নিজেদের অভিষেক আসরকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা। এজন্য জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না আমরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমরা সবাই রোমাঞ্চিত। তাই জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামবো।’
এ বছর এই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামছে আফগানিস্তান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল পর্বে খেলতে নামার আগে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে আফগানরা। দু’টিতেই হেরেছে তারা। পাকিস্তান শাহিনসের কাছে ১৪৪ রানে এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে ২ উইকেটে ম্যাচ হারে আফগানরা। গেল বছর পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে আফগানিস্তান। এরমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে আফগানরা। সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিলো আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের স্মৃতি মনে আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। কিন্তু ঐ সিরিজ হার নিয়ে ভাবতে নারাজ প্রোটিয়ারা। দলের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলেন, ‘ঐ সিরিজ নিয়ে আমরা ভাবছি না। তবে এটা সত্যি, ঐ সিরিজ থেকে প্রতিপক্ষের অনেক তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। যাতে পরিকল্পনা সাজাতে সহজ হয়।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা জয় দিয়ে করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান বলে কাজটা সহজ হবে না বলে মনে করেন বাভুমা। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তান এখন বড় প্রতিপক্ষ। যেকোন দলকে হারানোর সামর্থ্য আফগানদের আছে। তাদের দলে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেক খেলোয়াড় আছে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। যাতে জয় দিয়ে আসর শুরু করতে পারি।’ গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রস্তুতির সিরিজে ভালো ফল করতে পারেনি তারা। লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় প্রোটিয়ারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছিলো প্রোটিয়ারা। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মাত্র পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান। এরমধ্যে ৩টিতে প্রোটিয়ারা এবং ২টিতে জয় পায় আফগানরা। আইসিসি ইভেন্টে ওয়ানডে ফরম্যাটে তৃতীয়বারের মত আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৯ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিলো দু’দলের। ঐ দু’টি ম্যাচ যথাক্রমে- ৯ উইকেটে এবং ৫ উইকেটে জিতেছিলো প্রোটিয়ারা।