ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস

  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ব্যাট হাতে সামনে থেকে দলকে পথ দেখালেন অ্যান্ডি বালবার্নি। অধিনায়কের দারুণ সেঞ্চুরি ও হ্যারি টেক্টরের কার্যকর ফিফটিতে তিনশ রানের কাছে গেল আয়ারল্যান্ড। পরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আড়াইশর নিচে থামিয়ে ইতিহাস গড়ল স্বাগতিকরা। দলটির বিপক্ষে প্রথমবার পেল আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার অনির্বচনীয় স্বাদ। ডাবলিনে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৩ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে আইরিশরা। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টি বাধায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের এটিই প্রথম জয়। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৭ ওয়ানডেতে। অন্য কোনো সংস্করণে এখনও দেখা হয়নি তাদের। এই জয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১০ পয়েন্ট পেল আয়ারল্যান্ড। বালবার্নির ১০২ রান ও টেক্টরের ৭৯ রানের সৌজন্যে ২৯০ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই দলটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ইয়ানেমান মালানের ৮৪ ও রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে তার শতরানের জুটিতে শক্ত ভিত পেয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৪৭ রানে। ২৯০ রানের ওপর রান তাড়ায় টানা ১০ ম্যাচ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৬ সালের পর এই রান তাড়া করে জয় নেই তাদের। পল স্টার্লিং ও বালবার্নির ব্যাটে দারুণ শুরু পায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড। দুই ওপেনার পার করে দেন পাওয়ার প্লে। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় আরেকটু। ৪ চারে ২৭ রান করা স্টার্লিংকে বোল্ড করে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ। আরেক পান্তে বালবার্নি ছিলেন অবিচল। ৫০ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন খেলতে থাকেন দেখেশুনে। সঙ্গ দিয়ে যান অধিনায়ককে। ফিফটির পর উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগ দেন বালবার্নিও। আরেকটি পঞ্চাশ রানের জুটি পায় স্বাগতিকরা। তাবরাইজ শামসিকে পরপর দুই বলে চার মেরে ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন ম্যাকব্রাইন। কিন্তু তাকে পরের বলেই এলবিডব্লিউ করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিস্ট স্পিনার। বালবার্নি এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে মহারাজকে ছক্কায় উড়িয়ে কাক্সিক্ষত তিন অঙ্কের আরও কাছে পৌঁছে যান তিনি। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক স্পর্শ করেন ১১৪ বলে। এরপর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। পরের ওভারেই কাগিসো রাবাদার ফুলটসে মিড-অফে ধরা পড়েন। থামে তার ১১৭ বলে ১০২ রানের ইনিংস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে ১০ চারের পাশে ছক্কা দুটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
জর্জ ডকরেল ও টেক্টরের ব্যাটে রান আসতে থাকে দ্রুত। রাবাদার ওভারে দুইজনে মারেন একটি করে ছক্কা। পরে আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োর ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৮ রান। এই জুটিতে টেক্টর ফিফটি তুলে নেন ৫৪ বলে। তার ৬৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৯ রানের ইনিংস থামে শেষ ওভারে। ফেলুকওয়ায়োর ওই ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ডকরেল ব্যাট হাতে ঝড় তুলে করেন ২৩ বলে ৪৫। তাদের ৯০ রানের জুটিতে আয়ারল্যান্ডের রান যায় তিনশর কাছে। রান তাড়ায় দ্রুত এইডেন মারক্রাম ও টেম্বা বাভুমাকে হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ধাক্কা সামাল দেন মালান ও ফন ডার ডাসেন। তাদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেটে তারা দলকে দেন শতরানের জুটি। ২ ছক্কা ও ৪ চারে মালান ফিফটি তুলে নেন ৫১ বলে। তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক থেকে ১৬ রান দূরে তাকে থামান ডকরেল। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৮৪ রান করা এই ওপেনার বাউন্ডারিতে ধরা পড়লে ভাঙে ১০৮ রানের জুটি। পরের ওভারেই আরেক থিতু ব্যাটসম্যান ফন ডার ডাসেনকে ফিরিয়ে দেন ম্যাকব্রাইন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষের দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি কেউই। বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস

আপডেট সময় : ১১:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ব্যাট হাতে সামনে থেকে দলকে পথ দেখালেন অ্যান্ডি বালবার্নি। অধিনায়কের দারুণ সেঞ্চুরি ও হ্যারি টেক্টরের কার্যকর ফিফটিতে তিনশ রানের কাছে গেল আয়ারল্যান্ড। পরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আড়াইশর নিচে থামিয়ে ইতিহাস গড়ল স্বাগতিকরা। দলটির বিপক্ষে প্রথমবার পেল আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার অনির্বচনীয় স্বাদ। ডাবলিনে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৩ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে আইরিশরা। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টি বাধায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের এটিই প্রথম জয়। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৭ ওয়ানডেতে। অন্য কোনো সংস্করণে এখনও দেখা হয়নি তাদের। এই জয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১০ পয়েন্ট পেল আয়ারল্যান্ড। বালবার্নির ১০২ রান ও টেক্টরের ৭৯ রানের সৌজন্যে ২৯০ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই দলটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ইয়ানেমান মালানের ৮৪ ও রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে তার শতরানের জুটিতে শক্ত ভিত পেয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৪৭ রানে। ২৯০ রানের ওপর রান তাড়ায় টানা ১০ ম্যাচ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৬ সালের পর এই রান তাড়া করে জয় নেই তাদের। পল স্টার্লিং ও বালবার্নির ব্যাটে দারুণ শুরু পায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ড। দুই ওপেনার পার করে দেন পাওয়ার প্লে। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় আরেকটু। ৪ চারে ২৭ রান করা স্টার্লিংকে বোল্ড করে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ। আরেক পান্তে বালবার্নি ছিলেন অবিচল। ৫০ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন খেলতে থাকেন দেখেশুনে। সঙ্গ দিয়ে যান অধিনায়ককে। ফিফটির পর উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগ দেন বালবার্নিও। আরেকটি পঞ্চাশ রানের জুটি পায় স্বাগতিকরা। তাবরাইজ শামসিকে পরপর দুই বলে চার মেরে ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন ম্যাকব্রাইন। কিন্তু তাকে পরের বলেই এলবিডব্লিউ করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিস্ট স্পিনার। বালবার্নি এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে মহারাজকে ছক্কায় উড়িয়ে কাক্সিক্ষত তিন অঙ্কের আরও কাছে পৌঁছে যান তিনি। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক স্পর্শ করেন ১১৪ বলে। এরপর টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। পরের ওভারেই কাগিসো রাবাদার ফুলটসে মিড-অফে ধরা পড়েন। থামে তার ১১৭ বলে ১০২ রানের ইনিংস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে ১০ চারের পাশে ছক্কা দুটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
জর্জ ডকরেল ও টেক্টরের ব্যাটে রান আসতে থাকে দ্রুত। রাবাদার ওভারে দুইজনে মারেন একটি করে ছক্কা। পরে আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োর ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৮ রান। এই জুটিতে টেক্টর ফিফটি তুলে নেন ৫৪ বলে। তার ৬৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৯ রানের ইনিংস থামে শেষ ওভারে। ফেলুকওয়ায়োর ওই ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ডকরেল ব্যাট হাতে ঝড় তুলে করেন ২৩ বলে ৪৫। তাদের ৯০ রানের জুটিতে আয়ারল্যান্ডের রান যায় তিনশর কাছে। রান তাড়ায় দ্রুত এইডেন মারক্রাম ও টেম্বা বাভুমাকে হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ধাক্কা সামাল দেন মালান ও ফন ডার ডাসেন। তাদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেটে তারা দলকে দেন শতরানের জুটি। ২ ছক্কা ও ৪ চারে মালান ফিফটি তুলে নেন ৫১ বলে। তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক থেকে ১৬ রান দূরে তাকে থামান ডকরেল। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৮৪ রান করা এই ওপেনার বাউন্ডারিতে ধরা পড়লে ভাঙে ১০৮ রানের জুটি। পরের ওভারেই আরেক থিতু ব্যাটসম্যান ফন ডার ডাসেনকে ফিরিয়ে দেন ম্যাকব্রাইন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষের দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি কেউই। বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল।