ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করে নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড গড়া জয়

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম ইনিংসের চেয়ে একটু উন্নতি! তবে এটাকে উন্নতি বললে অবশ্য মুখ লুকাতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররাই। বরং বলা ভালো, আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল তাদের ব্যাটিং। আড়াই দিনের কম সময়ে রেকর্ড ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের জয় ইনিংস ও ২৭৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে শনিবার অলআউট ১১১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেল নিউ জিল্যান্ড। কিউইদের সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে এটির চেয়ে বড় জয় আছে স্রেফ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি। ২০০৪ সালের মার্চের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয় এটি। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ১৬ টেস্ট। এবার ম্যাচের প্রথম দুই দিনেই গড়া হয়ে যায় কিউইদের জয়ের ভিত। তৃতীয় দিন বলা যায় ছিল কেবল জয়-পরাজয়ের ব্যবধান দেখার অপেক্ষা। ৩ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের দ্বিতীয় বলেই ম্যাট হেনরি ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন রাসি ফন ডার ডাসেনকে। পরে কাইল জেমিসনের বলে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন জুবাইর হামজা। ষষ্ঠ উইকেটে খানিকটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনা। তবে সেটিও খুব দীর্ঘ হতে দেননি নিল ওয়্যাগনার। ২৯তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে পেয়ে তৃতীয় বলেই দারুণ সুইংয়ে তিনি ফিরিয়ে দেন ৪১ রান করা বাভুমাকে।
জুটিও থামে ঠিক ৪১ রানেই, গোটা ম্যাচেই যা দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ জুটি! টিম সাউদির বোলিং তোপে এরপর একের পর এক উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বেশ আস্থায় খেলতে থাকা ভেরেইনাকে ৩০ রানে থামিয়ে দেশের মাঠে ২০০ উইকেট পূর্ণ করেন সাউদি। পরে আরও দুই উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন তিনি ক্যারিয়ারের চতুর্দশ ৫ উইকেট। একইসঙ্গে একটি রেকর্ডে নিজেকে নিয়ে যান সবার ওপরে। কিংবদন্তি স্যার রিচার্ড হ্যাডলিকে (২০১) ছাড়িয়ে দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার এখন সাউদিই (২০২)। ম্যাচে ৯ উইকেট ও ১১ নম্বরে নেমে অপরাজিত ফিফটির পর ম্যাচ সেরার লড়াইয়ে অবশ্য হেনরি ছিলেন বলা যায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই নিয়ে নিজের সবশেষ দুই টেস্টেই তিনি ম্যান অব দা ম্যাচ। তবু নিশ্চিত নয় পরের টেস্টে তার খেলা। ছুটি শেষে ট্রেন্ট বোল্ট যে ফিরবেন! আগামী শুক্রবার থেকে ক্রাইস্টচার্চেই দ্বিতীয় টেস্ট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আসছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করে নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড গড়া জয়

আপডেট সময় : ১২:২৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম ইনিংসের চেয়ে একটু উন্নতি! তবে এটাকে উন্নতি বললে অবশ্য মুখ লুকাতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররাই। বরং বলা ভালো, আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল তাদের ব্যাটিং। আড়াই দিনের কম সময়ে রেকর্ড ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের জয় ইনিংস ও ২৭৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে শনিবার অলআউট ১১১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেল নিউ জিল্যান্ড। কিউইদের সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে এটির চেয়ে বড় জয় আছে স্রেফ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি। ২০০৪ সালের মার্চের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয় এটি। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ১৬ টেস্ট। এবার ম্যাচের প্রথম দুই দিনেই গড়া হয়ে যায় কিউইদের জয়ের ভিত। তৃতীয় দিন বলা যায় ছিল কেবল জয়-পরাজয়ের ব্যবধান দেখার অপেক্ষা। ৩ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের দ্বিতীয় বলেই ম্যাট হেনরি ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন রাসি ফন ডার ডাসেনকে। পরে কাইল জেমিসনের বলে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন জুবাইর হামজা। ষষ্ঠ উইকেটে খানিকটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনা। তবে সেটিও খুব দীর্ঘ হতে দেননি নিল ওয়্যাগনার। ২৯তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে পেয়ে তৃতীয় বলেই দারুণ সুইংয়ে তিনি ফিরিয়ে দেন ৪১ রান করা বাভুমাকে।
জুটিও থামে ঠিক ৪১ রানেই, গোটা ম্যাচেই যা দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ জুটি! টিম সাউদির বোলিং তোপে এরপর একের পর এক উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বেশ আস্থায় খেলতে থাকা ভেরেইনাকে ৩০ রানে থামিয়ে দেশের মাঠে ২০০ উইকেট পূর্ণ করেন সাউদি। পরে আরও দুই উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন তিনি ক্যারিয়ারের চতুর্দশ ৫ উইকেট। একইসঙ্গে একটি রেকর্ডে নিজেকে নিয়ে যান সবার ওপরে। কিংবদন্তি স্যার রিচার্ড হ্যাডলিকে (২০১) ছাড়িয়ে দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার এখন সাউদিই (২০২)। ম্যাচে ৯ উইকেট ও ১১ নম্বরে নেমে অপরাজিত ফিফটির পর ম্যাচ সেরার লড়াইয়ে অবশ্য হেনরি ছিলেন বলা যায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই নিয়ে নিজের সবশেষ দুই টেস্টেই তিনি ম্যান অব দা ম্যাচ। তবু নিশ্চিত নয় পরের টেস্টে তার খেলা। ছুটি শেষে ট্রেন্ট বোল্ট যে ফিরবেন! আগামী শুক্রবার থেকে ক্রাইস্টচার্চেই দ্বিতীয় টেস্ট।