প্রত্যাশা ডেস্ক: বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষে আরো মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
কম্বোডিয়া জানিয়েছে, থাই বাহিনীর গোলাগুলিতে আরো দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা সাত জনে দাঁড়িয়েছে।
আহত হয়েছেন ২০ জন। অন্যদিকে থাইল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের কমপক্ষে তিনজন সেনা নিহত হয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষ টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে চলছে। দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুতই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
উভয় পক্ষই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
গত জুলাইয়ের শুরুতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। থাই সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, কম্বোডিয়া বেসামরিক এলাকায় রকেট সিস্টেম ও বোমা ফেলার ড্রোন ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাইল্যান্ড পূরসাত প্রদেশের বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে গুলি ও গোলাবর্ষণ করছে।
মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হুন সেন বলেন, থাইল্যান্ডের আগ্রাসনের জবাবে কম্বোডিয়া গত রাত ও আজ সকালে পাল্টা আঘাত হেনেছে। তিনি দাবি করেন, কম্বোডিয়া ২৪ ঘণ্টার বেশি সংযম দেখিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি মানতেই পরিস্থিতি সহ্য করছিল।
জুলাই মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতির পর এটি দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাত। এই যুদ্ধবিরতি করিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ার করেছিলেন—সমঝোতা না হলে দুই দেশের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনা স্থগিত করবেন।
ট্রাম্প সেই সময়ে এই সীমান্ত সংঘাতের অবসানে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য দাবি করেছিলেন। কম্বোডিয়া তার ভূমিকার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তাদের ৮০০ কিলোমিটার স্থল সীমান্তে আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধিতা করে আসছে।
সূত্র : বিবিসি
ওআ/আপ্র/০৯/১২/২০২৫






















