ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

‘ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই’

  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : নদীভাঙন থেকে ভিটেমাটি ও ফসলি জমি রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকম-ল গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসেন আলীসহ নদীভাঙনের কবলে পড়া শতাধিক পরিবারের লোকজন। ইউপি চেয়ারম্যান হাসেন আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের গোরকম-ল গ্রামটি গত দুই মাস ধরে ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। এত বড় গ্রামের জন্য মাত্র ২০০টি জিওব্যাগ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীরব ভূমিকা পালন করছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কয়েকদিনের ভাঙনে এই গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ত্রাণ নয়, বাঁধ চাই। নদীভাঙন থেকে পরিত্রাণ চাই।’ ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই ফুলবাড়ী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এসে জেলা শহরের কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে হচ্ছে।’ গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, ‘ধরলার টানা ভাঙনে গোরকম-লের প্রায় এক হাজার একর ফসলি জমি, মাছের ঘের, ছয় শতাধিক ঘরবাড়িসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’ নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমার এক বিঘা জমি ধরলা নদীতে চলে গেছে। ঘরবাড়ি রক্ষা করতে পারিনি। এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমার মতো এরকম হাজারও পরিবার তাদের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে।’ এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গোরকম-লতো চর এলাকা। ওখানে আমাদের কোনো বাঁধ নেই।এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ব্যবস্থা নেইনি। তবে সেখানে বাঁধ তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা

‘ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই’

আপডেট সময় : ১১:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : নদীভাঙন থেকে ভিটেমাটি ও ফসলি জমি রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকম-ল গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসেন আলীসহ নদীভাঙনের কবলে পড়া শতাধিক পরিবারের লোকজন। ইউপি চেয়ারম্যান হাসেন আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের গোরকম-ল গ্রামটি গত দুই মাস ধরে ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। এত বড় গ্রামের জন্য মাত্র ২০০টি জিওব্যাগ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীরব ভূমিকা পালন করছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কয়েকদিনের ভাঙনে এই গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ত্রাণ নয়, বাঁধ চাই। নদীভাঙন থেকে পরিত্রাণ চাই।’ ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই ফুলবাড়ী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এসে জেলা শহরের কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে হচ্ছে।’ গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, ‘ধরলার টানা ভাঙনে গোরকম-লের প্রায় এক হাজার একর ফসলি জমি, মাছের ঘের, ছয় শতাধিক ঘরবাড়িসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’ নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমার এক বিঘা জমি ধরলা নদীতে চলে গেছে। ঘরবাড়ি রক্ষা করতে পারিনি। এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমার মতো এরকম হাজারও পরিবার তাদের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে।’ এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গোরকম-লতো চর এলাকা। ওখানে আমাদের কোনো বাঁধ নেই।এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ব্যবস্থা নেইনি। তবে সেখানে বাঁধ তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’