নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মৌসুমে প্রায় ২০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকবে। এই আলু বিক্রিতে ত্রাণসহ সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে আলু বিতরণ চান হিমাগার মালিকরা।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধদল সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানান। কোল্ডস্টোরেজ (হিমাগার) অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল কোল্ডস্টোরেজে মজুত ও উদ্বৃত্ত আলু বিক্রিতে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন, চলতি ২০২১ মৌসুমে এক কোটি ১০ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। বিপরীতে দেশে আলুর চাহিদা ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টন। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
এ বছর প্রায় ৪০০ হিমাগারে ৫৫ লাখ টন খাবার আলু, বীজ আলু ও রফতানিযোগ্য আলু সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে আলুর বাজারদর কম। সংরক্ষিত আলু বাজারজাত না করতে পারলে বিপুল পরিমাণ আলু অবিক্রিত থাকার সম্ভাবনা দেখা দেবে বলেও জানান তারা।
গত বছরের মতো এ বছরও ত্রাণসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে আলু বিতরণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সরকারিভাবে আলু কিনে ত্রাণ, কাবিখা, ভিজিএফ, ওএমএস, রোহিঙ্গাদের মধ্যে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রেশনে আলু বিতরণ করলে উদ্বৃত্ত আলুর সুষ্ঠু ব্যবহার সম্ভব।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর করোনার শুরুর দিকে আমরা বিভিন্ন ত্রাণ কাজে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে ও রেশনে আলু বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। ফলে আলুর ব্যবহার অনেক বেশি হয়েছিল এবং শেষ দিকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এ বছর উদ্বৃত্ত আলুর বাজারজাতের জন্য উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আলুর সুষ্ঠু বাজারজাতে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আলুর রফতানি বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা চলছে। আগামীতে আলুর রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।’
সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন পুষ্টি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসতিয়াক আহমেদ, ময়নাকুটি কোল্ডস্টোরেজের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।