ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ত্বক পরীক্ষায়ই জানা যাবে স্নায়ু রোগের ঝুঁকি আছে কি না

  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ত্বক পরীক্ষা করেই জানা যাবে স্নায়ুর কোনো সমস্যায় ভুগছেন কি না। সম্প্রতি এমনই একটি পরীক্ষার খোঁজ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সিন ওয়ান টেস্ট নামের ওই পরীক্ষা চিকিৎসকের চেম্বারে বসেই করা যাবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারবেন কোনো ব্যক্তির পার্কিনসনস রোগ আছে কি না। ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই টেস্টের সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। যার ফলে রোগের শনাক্তকরণে ভুলভ্রান্তি অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। পরীক্ষাটির নাম সিন ওয়ান টেস্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষণায় আবিষ্কৃত টেস্টটি সহজেই চিকিৎসকের চেম্বারে করা যায়। গবেষকদের কথায়, পার্কিনসন রোগ অধিকাংশ সময়েই ঠিকভাবে ধরা পড়ে না। চিকিৎসকদের মতে, রোগটির পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় সঠিকভাবে এটিকে শনাক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এবার সেই পরীক্ষা সহজ হবে।
কী বলছে পরিসংখ্যান?
পার্কিনসনস রোগের পরিসংখ্যান চিকিৎসকদের কাছে বড় চিন্তার কারণ। জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যক্তি এই রোগের শিকার হন। এর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেকেই রোগটির শিকার। আপাতত পার্কিনসনস রোগের কোনো ওষুধ নেই। তবে রোগটিকে ঠিকমতো শনাক্ত করা গেলে উপসর্গগুলোর চিকিৎসা করা হয়।
পার্কিনসনস কী?
পার্কিনসনস একটি স্নায়ুঘটিত রোগ। একে নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার বলা হয়। তবে এটি ছাড়াও বেশ কিছু স্নায়ুঘটিত রোগ আছে, রয়েছে মস্তিষ্কের সমস্যাও। এবার সেগুলোও ধরা পড়বে একই পরীক্ষায়। এই ধরনের রোগের মধ্যে আছে লিউয়ি বডি ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ, মাল্টিপল সিস্টেম অ্যাট্রফি, পিওর অটোনমি ফেইলিওর। মোট ৪২৭ জনকে নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। তার ভিত্তিতেই দেখা যায় পরীক্ষাটির সাফল্য।
কী বলছেন গবেষকরা?
বেথ ইজরায়েল ডেকোনেস মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ক্রিসটোফার গিবনসের মতে, পার্কিনসনস রোগ প্রায়ই ঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। রোগটিকে ঠিকমতো শনাক্ত করা যায় না বলেই এমনটি হয়। সঠিকভাবে শনাক্ত করা গেলে এর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। ডিমেনশিয়া ও অন্যান্য ব্রেন ডিজিজের ক্ষেত্রেও একই মত চিকিৎসকের। সাধারণত চিকিৎসকরা একটি রোগের সঙ্গে অন্যটিকে গুলিয়ে ফেলেন। এতেই বিপদ বাড়ে। এবার সেই বিপদ কমবে বলেই আশা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ত্বক পরীক্ষায়ই জানা যাবে স্নায়ু রোগের ঝুঁকি আছে কি না

আপডেট সময় : ১০:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: ত্বক পরীক্ষা করেই জানা যাবে স্নায়ুর কোনো সমস্যায় ভুগছেন কি না। সম্প্রতি এমনই একটি পরীক্ষার খোঁজ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সিন ওয়ান টেস্ট নামের ওই পরীক্ষা চিকিৎসকের চেম্বারে বসেই করা যাবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারবেন কোনো ব্যক্তির পার্কিনসনস রোগ আছে কি না। ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই টেস্টের সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। যার ফলে রোগের শনাক্তকরণে ভুলভ্রান্তি অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। পরীক্ষাটির নাম সিন ওয়ান টেস্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষণায় আবিষ্কৃত টেস্টটি সহজেই চিকিৎসকের চেম্বারে করা যায়। গবেষকদের কথায়, পার্কিনসন রোগ অধিকাংশ সময়েই ঠিকভাবে ধরা পড়ে না। চিকিৎসকদের মতে, রোগটির পরীক্ষা নিরীক্ষার সময় সঠিকভাবে এটিকে শনাক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এবার সেই পরীক্ষা সহজ হবে।
কী বলছে পরিসংখ্যান?
পার্কিনসনস রোগের পরিসংখ্যান চিকিৎসকদের কাছে বড় চিন্তার কারণ। জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যক্তি এই রোগের শিকার হন। এর বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেকেই রোগটির শিকার। আপাতত পার্কিনসনস রোগের কোনো ওষুধ নেই। তবে রোগটিকে ঠিকমতো শনাক্ত করা গেলে উপসর্গগুলোর চিকিৎসা করা হয়।
পার্কিনসনস কী?
পার্কিনসনস একটি স্নায়ুঘটিত রোগ। একে নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার বলা হয়। তবে এটি ছাড়াও বেশ কিছু স্নায়ুঘটিত রোগ আছে, রয়েছে মস্তিষ্কের সমস্যাও। এবার সেগুলোও ধরা পড়বে একই পরীক্ষায়। এই ধরনের রোগের মধ্যে আছে লিউয়ি বডি ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ, মাল্টিপল সিস্টেম অ্যাট্রফি, পিওর অটোনমি ফেইলিওর। মোট ৪২৭ জনকে নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। তার ভিত্তিতেই দেখা যায় পরীক্ষাটির সাফল্য।
কী বলছেন গবেষকরা?
বেথ ইজরায়েল ডেকোনেস মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ক্রিসটোফার গিবনসের মতে, পার্কিনসনস রোগ প্রায়ই ঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। রোগটিকে ঠিকমতো শনাক্ত করা যায় না বলেই এমনটি হয়। সঠিকভাবে শনাক্ত করা গেলে এর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। ডিমেনশিয়া ও অন্যান্য ব্রেন ডিজিজের ক্ষেত্রেও একই মত চিকিৎসকের। সাধারণত চিকিৎসকরা একটি রোগের সঙ্গে অন্যটিকে গুলিয়ে ফেলেন। এতেই বিপদ বাড়ে। এবার সেই বিপদ কমবে বলেই আশা।