ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যায় হল প্রভোস্টসহ ১৫ জনের নামে মামলা

  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ফজলুল হক মুসলিম হল প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের স্বজন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিহতের ফুপাতোবোন মোসা. আসমা আক্তার এ মামলার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একইসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতান। মামলা থেকে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। পরদিন দুপুরে শাহবাগ থানায মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা দায়েরের পর ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। জবানবন্দি প্রদানকারীরা হলেন-জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হোসেন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যায় হল প্রভোস্টসহ ১৫ জনের নামে মামলা

আপডেট সময় : ০৮:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ফজলুল হক মুসলিম হল প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের স্বজন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিহতের ফুপাতোবোন মোসা. আসমা আক্তার এ মামলার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একইসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতান। মামলা থেকে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। পরদিন দুপুরে শাহবাগ থানায মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা দায়েরের পর ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। জবানবন্দি প্রদানকারীরা হলেন-জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হোসেন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।