ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

তেহরানে খামেনি ও এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : এরদোয়ানের দেখা নেই, দাঁড়িয়ে আছেন পুতিন। তিনি যে ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠছেন তা তার মুখোভঙ্গিতে স্পষ্ট। একে একে পাক্কা ৫০ সেকেন্ড পার হওয়ার পর এলেন এরদোয়ান। হাসিমুখে করমর্দন করলেন দুই নেতা। তবে কি পুতিনের অতীত আচরণের প্রতিশোধ নিলেন এরদোয়ান? তুরস্কের টিটোয়েন্টিফোর ওয়েবসাইট এ বিষয় নিয়ে তাদের খবরের হেডলাইন করেছে, ‘এটা কি প্রতিশোধ ছিল?” বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুতিন অতীতে এভাবে এরদোয়ানসহ আরও কয়েকজন বিশ্বনেতাকে অপেক্ষায় রেখেছিলেন। তবে সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে, মস্কোতে। সেবার এরদোয়ানকে পাক্কা দুই মিনিট অপেক্ষায় রেখেছিলেন পুতিন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুতিন তার চেয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পেছনে দুই দেশের পতাকা। তিনি দুইহাত পেটের নিচে আড়াআড়ি করে রেখে দাঁড়িয়ে, চিবানোর মত করে মুখ নাড়ছেন। ক্যামেরায় এরদোয়ানকে দেখা যাওয়ার আগেই তার দাঁড়ানোর ভঙ্গি বদলে যায়। পুতিন হাসিমুখে হাত দুইদিকে প্রসারিত করে এরদোয়ানকে স্বাগত জানান। এরদোয়ান বলেন, ‘‘হ্যালো, কেমন আছেন, ভালো?” এরপর তারা হাত বাড়িয়ে পরস্পরের দিকে এগিয়ে যান, হাসেন এবং করমর্দন করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসনের পর দ্বিতীয়বারের মতো পুতিন দেশের বাইরে কোথাও সফরে গেলেন। মঙ্গলবার তিনি ইরান সফরে যান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের কোনো দেশের নেতার সঙ্গে এটাই পুতিনের প্রথম বৈঠক।
এদিকে মঙ্গলবারই পুতিন তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এক সফরে এরদোয়ানও ইরানে ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফর করার কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরানে গেলেন পুতিন। এতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরান, চীন ও ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্রতা গড়ে তোলার মস্কোর পরিকল্পনার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলো একটি জোরালো বার্তা পেল। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন খামেনি, ‘পশ্চিমাদের প্রতারণার’ বিরুদ্ধে এ দেশ দুটিকে সজাগ থাকা দরকার বলে পুতিনকে বলেছেন তিনি। খামেনি জানিয়েছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে’ বলে নিশ্চিত করেছেন পুতিন আর বলেছেন, পণ্য বাণিজ্যে দেশগুলোর তাদের নিজেদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার শুরু করা উচিত। “বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ হওয়া উচিত, এটি ধীরে ধীরে করা যেতে পারে,” বৈঠক চলাকালে বলেন খামেনি। খামেনি আরও বলেছেন, যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হলেও ইউক্রেইনের ক্ষেত্রে মস্কোর তেমন কোনো বিকল্প ছিল না। পুতিনকে তিনি বলেন, “আপনি এ উদ্যোগ না নিলে অন্য পক্ষ (পশ্চিম) তাদের নিজেদের উদ্যোগেই একটি যুদ্ধ শুরু করে দিতো। ন্যাটো এক বিপজ্জনক অস্তিত্ব। পশ্চিম শক্তিশালী, স্বাধীন রাশিয়ার পুরোপুরি বিরোধী। নেটোর জন্য রাস্তা খোলা রাখলে এটি কোনো সীমাই মানবে না।“ইউক্রেইনে একে থামানো না হলে পরে এটি ক্রিমিয়ায় একই ধরনের যুদ্ধ শুরু করতো।” পরে রাইসি, এরদোয়ান ও পুতিন এক বৈঠকে মিলিত হন। এ বৈঠকের আগে খামেনি এরদোয়ানকে বলেন, “সিরিয়ার ভৌগলিক অখ-তা ধরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কোনো সামরিক হামলা হলে তাতে স্পষ্টত তুরস্ক, সিরিয়াসহ পুরো অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর লাভবান হবে সন্ত্রাসীরা।” বৈঠকে পুতিন, এরদোয়ান ও রাইসি সিরিয়ায় সহিংসতা কমানোর প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন। নিজেদের সীমান্ত বরাবর সিরিয়ার ৩০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত গড়ে তোলা ‘সেইফ জোন’-র আওতা বাড়াতে সেখানে আরও সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু তুরস্কের এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে মস্কো ও তেহরান। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দৃঢ় সমর্থক, অপরদিকে তুরস্ক আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। সিরিয়ায় তুরস্ক কোনো সামরিক অভিযান শুরু করলে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়ারা হামলার মুখে পড়তে পারে। ওয়াইপিজি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর গুরুত্বর্পূণ অংশীদার। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং এ বাহিনীকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বলে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। ওয়াইপিজির কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, “এ সন্ত্রাসী সংগঠন যখন নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা অব্যাহত রেখেছে তখন তুরস্ক নিষ্ক্রিয়, প্রতিক্রিয়াহীন থাকবে বলে আশা করা যায় না। তুরস্কের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ আপনারা বুঝতে পেরেছেন, এরজন্য আপনাদের ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধুরা; কিন্তু শুধু কথায় ক্ষত সারবে না।” বৈঠকের শেষে পুতিন জানান, তিন প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার বিষয়ে পরামর্শ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে এবং এক দশকের সংঘাতের পর সেখানকার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

তেহরানে খামেনি ও এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক

আপডেট সময় : ০২:৩২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২

বিদেশের খবর ডেস্ক : এরদোয়ানের দেখা নেই, দাঁড়িয়ে আছেন পুতিন। তিনি যে ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠছেন তা তার মুখোভঙ্গিতে স্পষ্ট। একে একে পাক্কা ৫০ সেকেন্ড পার হওয়ার পর এলেন এরদোয়ান। হাসিমুখে করমর্দন করলেন দুই নেতা। তবে কি পুতিনের অতীত আচরণের প্রতিশোধ নিলেন এরদোয়ান? তুরস্কের টিটোয়েন্টিফোর ওয়েবসাইট এ বিষয় নিয়ে তাদের খবরের হেডলাইন করেছে, ‘এটা কি প্রতিশোধ ছিল?” বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুতিন অতীতে এভাবে এরদোয়ানসহ আরও কয়েকজন বিশ্বনেতাকে অপেক্ষায় রেখেছিলেন। তবে সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে, মস্কোতে। সেবার এরদোয়ানকে পাক্কা দুই মিনিট অপেক্ষায় রেখেছিলেন পুতিন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুতিন তার চেয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পেছনে দুই দেশের পতাকা। তিনি দুইহাত পেটের নিচে আড়াআড়ি করে রেখে দাঁড়িয়ে, চিবানোর মত করে মুখ নাড়ছেন। ক্যামেরায় এরদোয়ানকে দেখা যাওয়ার আগেই তার দাঁড়ানোর ভঙ্গি বদলে যায়। পুতিন হাসিমুখে হাত দুইদিকে প্রসারিত করে এরদোয়ানকে স্বাগত জানান। এরদোয়ান বলেন, ‘‘হ্যালো, কেমন আছেন, ভালো?” এরপর তারা হাত বাড়িয়ে পরস্পরের দিকে এগিয়ে যান, হাসেন এবং করমর্দন করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসনের পর দ্বিতীয়বারের মতো পুতিন দেশের বাইরে কোথাও সফরে গেলেন। মঙ্গলবার তিনি ইরান সফরে যান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের কোনো দেশের নেতার সঙ্গে এটাই পুতিনের প্রথম বৈঠক।
এদিকে মঙ্গলবারই পুতিন তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এক সফরে এরদোয়ানও ইরানে ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফর করার কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরানে গেলেন পুতিন। এতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরান, চীন ও ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্রতা গড়ে তোলার মস্কোর পরিকল্পনার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলো একটি জোরালো বার্তা পেল। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন খামেনি, ‘পশ্চিমাদের প্রতারণার’ বিরুদ্ধে এ দেশ দুটিকে সজাগ থাকা দরকার বলে পুতিনকে বলেছেন তিনি। খামেনি জানিয়েছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘তার স্বাধীনতা বজায় রেখেছে’ বলে নিশ্চিত করেছেন পুতিন আর বলেছেন, পণ্য বাণিজ্যে দেশগুলোর তাদের নিজেদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার শুরু করা উচিত। “বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ হওয়া উচিত, এটি ধীরে ধীরে করা যেতে পারে,” বৈঠক চলাকালে বলেন খামেনি। খামেনি আরও বলেছেন, যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হলেও ইউক্রেইনের ক্ষেত্রে মস্কোর তেমন কোনো বিকল্প ছিল না। পুতিনকে তিনি বলেন, “আপনি এ উদ্যোগ না নিলে অন্য পক্ষ (পশ্চিম) তাদের নিজেদের উদ্যোগেই একটি যুদ্ধ শুরু করে দিতো। ন্যাটো এক বিপজ্জনক অস্তিত্ব। পশ্চিম শক্তিশালী, স্বাধীন রাশিয়ার পুরোপুরি বিরোধী। নেটোর জন্য রাস্তা খোলা রাখলে এটি কোনো সীমাই মানবে না।“ইউক্রেইনে একে থামানো না হলে পরে এটি ক্রিমিয়ায় একই ধরনের যুদ্ধ শুরু করতো।” পরে রাইসি, এরদোয়ান ও পুতিন এক বৈঠকে মিলিত হন। এ বৈঠকের আগে খামেনি এরদোয়ানকে বলেন, “সিরিয়ার ভৌগলিক অখ-তা ধরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কোনো সামরিক হামলা হলে তাতে স্পষ্টত তুরস্ক, সিরিয়াসহ পুরো অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর লাভবান হবে সন্ত্রাসীরা।” বৈঠকে পুতিন, এরদোয়ান ও রাইসি সিরিয়ায় সহিংসতা কমানোর প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন। নিজেদের সীমান্ত বরাবর সিরিয়ার ৩০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত গড়ে তোলা ‘সেইফ জোন’-র আওতা বাড়াতে সেখানে আরও সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু তুরস্কের এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে মস্কো ও তেহরান। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দৃঢ় সমর্থক, অপরদিকে তুরস্ক আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। সিরিয়ায় তুরস্ক কোনো সামরিক অভিযান শুরু করলে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়ারা হামলার মুখে পড়তে পারে। ওয়াইপিজি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর গুরুত্বর্পূণ অংশীদার। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং এ বাহিনীকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বলে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। ওয়াইপিজির কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, “এ সন্ত্রাসী সংগঠন যখন নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা অব্যাহত রেখেছে তখন তুরস্ক নিষ্ক্রিয়, প্রতিক্রিয়াহীন থাকবে বলে আশা করা যায় না। তুরস্কের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ আপনারা বুঝতে পেরেছেন, এরজন্য আপনাদের ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধুরা; কিন্তু শুধু কথায় ক্ষত সারবে না।” বৈঠকের শেষে পুতিন জানান, তিন প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার বিষয়ে পরামর্শ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে এবং এক দশকের সংঘাতের পর সেখানকার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।