ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

তেল দিলে কি খুশকি বাড়ে?

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুষ্ক মাথার ত্বক, চুলের যতœ না নেওয়া ইত্যাদি নানান কারণে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। ঘরে বসেই নানা উপায়ে খুশকির প্রতিকার করা সম্ভব। এমন একটা উপায় হল মাথায় তেল দেওয়া। চুলে তেল দেওয়া ভালো। তবে খুশকির জন্য ভালো নয়। খুশকির জন্য তেল তৈরি করতে দুটি বিষয় মনে রাখার পরামর্শ দেন ভারতের ‘জুনয়েস্ক ক্লিনিক’য়ের কসমেটোলজিস্ট কিরণ ভাট। টাইমঅবইন্ডিয়ায় ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “অনেকেই খুশকি হলে মাথায় তেল দেন না। তৈলাক্ত মাথার ত্বক খুশকির জন্য উপাদেয়। অন্যদিকে, তেল ত্বকের মৃত কোষের সঙ্গে মিশে যায় ফলে অতিরিক্ত চুলকানির সৃষ্টি হয়।” তেল খুশকির জন্য খারাপ কিনা? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল ‘না’। শুধু মনে রাখতে হবে সপ্তাহে কয়েকবার মাথায় তেল দেওয়া ভালো। আর খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন উপকরণে তৈরি তেল ব্যবহার করতে হবে। এই ধরনের তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং খুশকি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যে কারণে খুশকি হয়: খুশকি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মাথার ত্বক চুলকাতে থাকে এবং মরা চামড়া ওঠা শুরু করে। ফলে চুলে সাদা গুঁড়ার মতো দেখা দেয়। শুষ্ক ত্বক এবং চুলের পণ্যের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াসহ অনেক কারণেই হালকা খুশকি হতে পারে। তবে আরও গুরুতর পর্যায়ে খুশকি ‘সেবোরিক ডার্মাটাইটিস’ থেকে সৃষ্টি হতে পারে। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যা হরমোন ও কিছুটা ইস্টের কারণে হয়ে থাকে। খুশকি একটি সাধারণ অবস্থা যা মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। এটি সংক্রামক বা গুরুতর নয়। তবে বিব্রতকর এবং চিকিৎসা করা কঠিন। হালকা খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে মৃদু শ্যাম্পু দৈনিক ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে। যদি এটি কাজ না করে, সেক্ষেত্রে মেডিকেইটেড শ্যাম্পু ব্যবহার সাহায্য করতে পারে। যদিও খুশকির লক্ষণগুলো পরে ফিরে আসতে পারে। তবে তা কাজে দেয়।
খুশকির লক্ষণ: মাথার ত্বক, চুল, ভ্রু, দাড়ি বা গোঁফ এবং কাঁধে ত্বকের মৃত কোষ। মাথার ত্বকের চুলকানি ইত্যাদি।
খুশকি হওয়ার নানান কারণ: জ্বলুনি, তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক , ছত্রাক জনিত খুশকি যা মূলত প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে দেখা দেয়। চুলে সংবেদন সৃষ্টি করে এমন প্রসাধনী। অন্যান্য ত্বকের সমস্যা যেমন- সোরিয়াসিস।
যারা ঝুঁকির মধ্যে: কম বেশি সবারই খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। খুশকি সাধারণত কৈশোর থেকে শুরু হয়ে মাঝ বয়স পর্যন্ত দেখা যায়। তার মানে এই নয় যে, বয়স্কদের মাথায় খুশকি দেখা দেবে না। অনেকেই সারা জীবন খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন। নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাথার বেশি খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। সুনির্দিষ্ট অসুস্থতা যেমন- পারকিনসন’স এর মতো স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে খুশকির প্রবণতা বেশি দেখা দেয়।
ডাক্তারের কাছে যখন যাওয়া উচিত: অধিকাংশ খুশকি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত খুশকির শ্যাম্পু ব্যবহারে উন্নতি দেখা না দিলে প্রাথমিক যতেœর জন্য ডাক্তার বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

তেল দিলে কি খুশকি বাড়ে?

আপডেট সময় : ১২:৪৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুষ্ক মাথার ত্বক, চুলের যতœ না নেওয়া ইত্যাদি নানান কারণে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। ঘরে বসেই নানা উপায়ে খুশকির প্রতিকার করা সম্ভব। এমন একটা উপায় হল মাথায় তেল দেওয়া। চুলে তেল দেওয়া ভালো। তবে খুশকির জন্য ভালো নয়। খুশকির জন্য তেল তৈরি করতে দুটি বিষয় মনে রাখার পরামর্শ দেন ভারতের ‘জুনয়েস্ক ক্লিনিক’য়ের কসমেটোলজিস্ট কিরণ ভাট। টাইমঅবইন্ডিয়ায় ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “অনেকেই খুশকি হলে মাথায় তেল দেন না। তৈলাক্ত মাথার ত্বক খুশকির জন্য উপাদেয়। অন্যদিকে, তেল ত্বকের মৃত কোষের সঙ্গে মিশে যায় ফলে অতিরিক্ত চুলকানির সৃষ্টি হয়।” তেল খুশকির জন্য খারাপ কিনা? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল ‘না’। শুধু মনে রাখতে হবে সপ্তাহে কয়েকবার মাথায় তেল দেওয়া ভালো। আর খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন উপকরণে তৈরি তেল ব্যবহার করতে হবে। এই ধরনের তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং খুশকি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
যে কারণে খুশকি হয়: খুশকি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মাথার ত্বক চুলকাতে থাকে এবং মরা চামড়া ওঠা শুরু করে। ফলে চুলে সাদা গুঁড়ার মতো দেখা দেয়। শুষ্ক ত্বক এবং চুলের পণ্যের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াসহ অনেক কারণেই হালকা খুশকি হতে পারে। তবে আরও গুরুতর পর্যায়ে খুশকি ‘সেবোরিক ডার্মাটাইটিস’ থেকে সৃষ্টি হতে পারে। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যা হরমোন ও কিছুটা ইস্টের কারণে হয়ে থাকে। খুশকি একটি সাধারণ অবস্থা যা মাথার ত্বকে ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। এটি সংক্রামক বা গুরুতর নয়। তবে বিব্রতকর এবং চিকিৎসা করা কঠিন। হালকা খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে মৃদু শ্যাম্পু দৈনিক ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে। যদি এটি কাজ না করে, সেক্ষেত্রে মেডিকেইটেড শ্যাম্পু ব্যবহার সাহায্য করতে পারে। যদিও খুশকির লক্ষণগুলো পরে ফিরে আসতে পারে। তবে তা কাজে দেয়।
খুশকির লক্ষণ: মাথার ত্বক, চুল, ভ্রু, দাড়ি বা গোঁফ এবং কাঁধে ত্বকের মৃত কোষ। মাথার ত্বকের চুলকানি ইত্যাদি।
খুশকি হওয়ার নানান কারণ: জ্বলুনি, তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক , ছত্রাক জনিত খুশকি যা মূলত প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে দেখা দেয়। চুলে সংবেদন সৃষ্টি করে এমন প্রসাধনী। অন্যান্য ত্বকের সমস্যা যেমন- সোরিয়াসিস।
যারা ঝুঁকির মধ্যে: কম বেশি সবারই খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। খুশকি সাধারণত কৈশোর থেকে শুরু হয়ে মাঝ বয়স পর্যন্ত দেখা যায়। তার মানে এই নয় যে, বয়স্কদের মাথায় খুশকি দেখা দেবে না। অনেকেই সারা জীবন খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন। নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাথার বেশি খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। সুনির্দিষ্ট অসুস্থতা যেমন- পারকিনসন’স এর মতো স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে খুশকির প্রবণতা বেশি দেখা দেয়।
ডাক্তারের কাছে যখন যাওয়া উচিত: অধিকাংশ খুশকি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত খুশকির শ্যাম্পু ব্যবহারে উন্নতি দেখা না দিলে প্রাথমিক যতেœর জন্য ডাক্তার বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।