ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

তেলের কৃত্রিম সংকটকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

  • আপডেট সময় : ০২:১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে বাজারে ঈদের আগে থেকে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। নিয়মিত বাজারে অভিযান ও জরিমানা করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করে বিচারেরও দাবি জানানো হয়। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ঈদুল ফিতরের পর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির পরও বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে বিভিন্ন ডিলার ও ব্যবসায়ীদের গোপনে মজুত করা তেল উদ্ধার হচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেলের মতো বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানার মতো লঘুদ- দেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের এসব অনৈতিক কর্মকা- বন্ধ হচ্ছে না। উল্টো ভোক্তাকে জিম্মি করার এই প্রবণতা দিন দিন বড় শহর ছেড়ে গ্রামে গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ১৮ লাখ টনের বেশি তেল আমদানি করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকির ফলে মিল থেকেও তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ডিলার ও খুচরা পর্যায়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করেছে। ফলে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

তেলের কৃত্রিম সংকটকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

আপডেট সময় : ০২:১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে বাজারে ঈদের আগে থেকে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। নিয়মিত বাজারে অভিযান ও জরিমানা করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করে বিচারেরও দাবি জানানো হয়। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ঈদুল ফিতরের পর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির পরও বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে বিভিন্ন ডিলার ও ব্যবসায়ীদের গোপনে মজুত করা তেল উদ্ধার হচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেলের মতো বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানার মতো লঘুদ- দেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের এসব অনৈতিক কর্মকা- বন্ধ হচ্ছে না। উল্টো ভোক্তাকে জিম্মি করার এই প্রবণতা দিন দিন বড় শহর ছেড়ে গ্রামে গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ১৮ লাখ টনের বেশি তেল আমদানি করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকির ফলে মিল থেকেও তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ডিলার ও খুচরা পর্যায়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করেছে। ফলে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।