প্রত্যাশা ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার এক তরুণী তেলাপোকা মারতে গিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে আগুন লাগিয়ে ফেলেছেন। ছড়িয়ে পড়া আগুনে প্রাণ গেছে তার এক প্রতিবেশীর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কোরিয়ার ওসান শহরে। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ওই তরুণী সোমবার বিকেলে লাইটার আর দাহ্য স্প্রে একসঙ্গে ব্যবহার করে তেলাপোকা পোড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। অর্থাৎ তিনি নিজের ঘরেই বানিয়েছিলেন একধরনের অস্থায়ী ফ্লেমথ্রোয়ার।
আগেও নাকি এমনভাবে তেলাপোকা মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার ফলাফল খুব খারাপ হলো। মুহূর্তের মধ্যে তার ঘরে আগুন ধরে যায়। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টে।
দমকল বিভাগ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তবে ততক্ষণে আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।
ওসান শহরের অগ্নিকাণ্ডে যিনি মারা গেছেন ৩০ বছর বয়সী চীনা নারী তার স্বামী এবং দুই মাস বয়সী শিশুর সাথে ভবনের পঞ্চম তলায় থাকতেন।
যখন তারা বুঝতে পারলেন যে আগুন লেগেছে, তখন দম্পতি তাদের ঘরের জানালা খুলে সাহায্যের জন্য ডাকেন।
তারা জানালা দিয়ে তাদের বাচ্চাটিকে পাশের ব্লকের একজন প্রতিবেশীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তারপর নিজেরা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ায় সিঁড়ি দিয়ে নামার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাই তারা জানালা দিয়েই পাশের ভবনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্বামী কোনোভাবে পাশের ভবনের দেয়াল ধরে উঠতে সক্ষম হলেও তার স্ত্রী হাত ফসকে নিচে পড়ে যান। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যান ওই নারী।
উত্তরাঞ্চলীয় ওসান শহরের পুলিশ আরো জানায়, ওই তরুণীর বিরুদ্ধে দুর্ঘটনাক্রমে আগুন লাগানো এবং অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা যেতে পারে।
ওসান পুলিশ জানায়, আগুন লাগানোর ঘটনায় ২০ বছরের বেশি বয়সী ওই তরুণীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই তরুণী লাইটার ও স্প্রে একসঙ্গে ব্যবহার করে তেলাপোকা মারার চেষ্টায় এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে লাইটার, স্প্রে এবং দাহ্য পদার্থের বেশ কিছু অবশিষ্ট অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আগুনের কারণে আরো বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ধোঁয়াজনিত শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলেও জানানো হয়।
এসি/আপ্র/২১/১০/২০২৫