ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

তেঁতুল খেলে সারবে যেসব রোগ

  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ফুচকা খাওয়ার সময় তেঁতুলের টক না হলে কী চলে! বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। আবার ঘরোয়া বিভিন্ন কাজেও ব্যবহৃত হয় তেঁতুল যেমন- গয়না পরিষ্কার কিংবা পিতলের বাসন চকচকে করতে। জানলে অবাক হবেন, তেঁতুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ২৮৩ কিলোক্যালোরি। আরও থাকে আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম। বদহজম থেকে শুরু করে শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান মেলে তেঁতুলে। জেনে নিন তেঁতুল খেলে সারবে কোন কোন রোগ-

  • তেঁতুল খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমধান মেলে। তেঁতুলের টক উপাদান গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়। গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
  • গরমে কমবেশি অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে এক কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
    তেঁতুলে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম করতে সাহায্য করে। গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে তেঁতুল।
  • তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে তেঁতুল। ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে তেঁতুল ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে।
    তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
  • তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই ফল দারুণ উপকারী।
  • তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
  • মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী এই ফল। তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে বিভিন্ন কোষে তা পরিবহণ করে।
    আয়রনের সঠিক পরিমাণ মস্তিষ্কে পৌঁছলে চিন্তা ভাবনার গতি আগের থেকে অনেক বেশি বেড়ে যায়।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ ও কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় তেঁতুল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল সমৃদ্ধ। যা বিপাকক্রিয়া বাড়ায় ও ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  • ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৫-১০ গুণ বেশি এই তেঁতুলে। যা হাড় ও দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • তেঁতুলের শরবত খেলে স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরের জ্বালাপোড়া ভাব দূর হয়।
  • তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • রোদ থেকে ঘরে ফিরে তেঁতুলের টক-মিষ্টি শরবত খেতে পারেন। এতে মুহূর্তেই শিরবে স্বস্তি।
  • রক্ত স্বল্পতা দূর করতেও কার্যকরী এক উপাদান হলো তেঁতুল। এতে প্রচুর আয়রন থাকে, যা নারীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তেঁতুল খেলে সারবে যেসব রোগ

আপডেট সময় : ১২:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ফুচকা খাওয়ার সময় তেঁতুলের টক না হলে কী চলে! বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। আবার ঘরোয়া বিভিন্ন কাজেও ব্যবহৃত হয় তেঁতুল যেমন- গয়না পরিষ্কার কিংবা পিতলের বাসন চকচকে করতে। জানলে অবাক হবেন, তেঁতুলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ২৮৩ কিলোক্যালোরি। আরও থাকে আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম। বদহজম থেকে শুরু করে শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান মেলে তেঁতুলে। জেনে নিন তেঁতুল খেলে সারবে কোন কোন রোগ-

  • তেঁতুল খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমধান মেলে। তেঁতুলের টক উপাদান গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়। গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
  • গরমে কমবেশি অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে এক কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
    তেঁতুলে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম করতে সাহায্য করে। গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে তেঁতুল।
  • তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে তেঁতুল। ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে তেঁতুল ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে।
    তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
  • তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই ফল দারুণ উপকারী।
  • তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
  • মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী এই ফল। তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে বিভিন্ন কোষে তা পরিবহণ করে।
    আয়রনের সঠিক পরিমাণ মস্তিষ্কে পৌঁছলে চিন্তা ভাবনার গতি আগের থেকে অনেক বেশি বেড়ে যায়।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ ও কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় তেঁতুল ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল সমৃদ্ধ। যা বিপাকক্রিয়া বাড়ায় ও ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  • ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৫-১০ গুণ বেশি এই তেঁতুলে। যা হাড় ও দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • তেঁতুলের শরবত খেলে স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরের জ্বালাপোড়া ভাব দূর হয়।
  • তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • রোদ থেকে ঘরে ফিরে তেঁতুলের টক-মিষ্টি শরবত খেতে পারেন। এতে মুহূর্তেই শিরবে স্বস্তি।
  • রক্ত স্বল্পতা দূর করতেও কার্যকরী এক উপাদান হলো তেঁতুল। এতে প্রচুর আয়রন থাকে, যা নারীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।